থানচিতে ১ হাজার ৭১০ পরিবারকে ৪ মাসের খাদ্য সহায়তা প্রদান
খাদ্য সংকটাপন্ন অঞ্চলের সরকারিভাবে ২ ইউনিয়নের ১৭১০ পরিবারকে সহায়তা ও বহন করে নিল সরকার। ৮১ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য সাথে তেল, লবণ, নাপ্পি ও ডাল বরাদ্ধ দিয়েছে। খাদ্য সংকট আর ম্যালেরিয়া জ্বর আক্রান্ত ছিল কিনা।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্র্যাক ম্যানেজার টন্টু চাকমা জানান, চলতি বছরে আমাদের উপজেলা অফিসের রক্ত পরীক্ষা করতে আসার রোগী মধ্যে থেকে ২৮০ জনই ম্যালেরিয়া ধরা পড়েছে। তাদের সু-চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্গম রেমাক্রী, বড় মধক, ছোট মধক, জিন্নাপাড়া, দলিয়ানপাড়া দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল আরো অনেক। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকা ও অর্থ সংকটে থানচি উপজেলা সদরে আসতে না পাড়ায় এই সময়ের মধ্যে ভাইরাস জ্বর সাথে ম্যালেরিয়াও হতে পারে। পরীক্ষা করতে পারলে সঠিক রোগটি নির্ধারণ করতে পারতো বলে টন্টু জানান।
তিনি বলে, সংবাদ প্রচারের প্রেক্ষিতে গত ১৪, ১৫ ও ১৬ জুন সরেজমিনে গিয়ে দেখলাম রেমাক্রীতে ভাইরাস জ্বর ও ম্যালেরিয়া ৫ শতাংশ পাওয়া গেছে এবং একজন শিশু মারা যাওয়ার সংবাদ পেয়েছি।
উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী বকুলি মারমা ১৬ই জুন উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বনিক এর উপস্থিতিতে বলেছিলেন, রেমাক্রীতে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়নি এবং কেউ মারাও যায়নি। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদটি ভূয়া সাংবাদিকরা প্রচার করেছে।
জানতে চাইলে তিন্দু ইউনিয়নের বর্তমান দায়িত্ব প্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিব লিটন জানান, খাদ্য সংকট আর অভাব ছিল বিধায় আমাদের ইউনিয়নের ৭৬৫ পরিবারকে সরকারিভাবে ৪ মাসের তেল, লবণ, নাপ্পি, ডাল ও চাউল বিতরণের কাজ চলছে।
রেমাক্রী ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিব উচপ্রু মারমা জানান, আমাদের ইউনিয়নের ৯৪৫ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে সরকার। যা বর্তমানে বিতরণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য থানছি উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি-এর প্রতিনিধি মংথোয়াইম্যা মারমা (রনি) অপরিত মংপ্রু মারমা মুক্তি দাবিতে গত ১৪ই জুন বুধবার জেলা আ. লীগে ডাকে অবরোধ চলাকালীন সময়ের বিক্ষোভ মিছিল ও সভায় বলেন, সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করার জন্য, থানছিতে খাদ্য সংকট ও ম্যালেরিয়া প্রকোপ দেখা দিয়েছিল তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, থানচিতে কোন খাদ্য সংকট ছিল না আর ম্যালেরিয়া আক্রান্ত কোন রোগী ছিল না। বিগত প্রকাশিত সংবাদটি ভূঁয়া সাংবাদিকরা অপপ্রচার চালাছে। এই সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদটি ভূয়া সাংবাদিকরা লিখেছিল।