তরুন প্রজম্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান

666

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস।বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় উপজেলাবাসী স্মরণ করেছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে পৃথক ভাবে দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। এসব কর্মসূচীতে রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার রাত ১২.০১ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা হয়। বীর শহীদদের প্রতি সর্বপ্রথম উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সরওয়ার কামালের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন শ্রদ্ধা জানায়। এরপর পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বাংলাদেশ পুলিশ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাব, দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, হাজী এমএ কালাম ডিগ্রী কলেজ, নির্মাণ শ্রমিক সমবায় সমিতি লি. ছালেহ আহমদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ, আইডি ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন।

শুক্রবার সকালে সকল সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আনুষ্ঠানিক জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, শরীর চর্চা ও ডিসপ্লে, ক্রীড়া অনুষ্ঠান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরষ্কার বিতরণ, আলোচনা সভা, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ছালেহ আহমদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সকাল সাড়ে ৮ টায় সালাম গ্রহণ করেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সরওয়ার কামাল ও থানা অফিসার ইনচার্জ এ এইচএম তৌহিদ কবির।

সকাল ১০ টায় ছালেহ আহমদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে অনুষ্ঠিত সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার এবং মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার বক্তৃতায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার শপথ বাক্য পাঠ করতে হবে বর্তমান তরুন প্রজম্মকে। বর্তমান সরকার সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মের লেখাপড়ায় সহায়তা ও উৎসাহ প্রদানের জন্য বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নরতদেরকে অন্তর্ভূক্ত করেছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্য বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

 অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রাজা মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য ক্যউচিং চাক, সদস্য সচিব মো. ইমরান মেম্বার, এমপি প্রতিনিধি আলহাজ¦ খায়রুল বাশার, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক শফি উল্লাহ, তসলিম ইকবাল চৌধুরী, ডা. ইসমাইল, ডা. সিরাজুল হক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু আহমদ, নারী নেত্রী ওজিফা খাতুন রুবি। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলজিইডি প্রকৌশলী কমল কান্তি পাল, সমবায় কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের উপজেলা ব্যবস্থাপক একেএম রেজাউল হক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সুগত সেবক বড়–য়া, উদ্যান তত্ববিদ মো. এমরান কবির, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সমন্বয়কারী মুহম্মদ মহিউদ্দিন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো শাহ আলম।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন