টানা ৩ দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা

????????????????????????????????????

কক্সবাজার প্রতিনিধি :
ছুটি পেলেই লোকজন ছুটে আসে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারে। ছুটির দিন শুক্র-শনিও ২৬ মার্চের সরকারী ছুটিসহ টানা ৩ দিনের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে। পর্যটক আগমনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সব হোটেল-মোটেলগুলো বুকিং হয়ে গেছে। এমনকি কোন কটেজের কক্ষ’ও খালি নেই। এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা। টুরিষ্ট পুলিশের টহল পার্টি, সিভিল টিম ও টাইঙ্গার পার্টি নামে বিশেষ টিম কাজ করছে। যাতায়তের সুবিধাত্বে ট্রাফিক ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী ও সুগন্ধ্যা পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, দের লাখেরও বেশি পর্যটকের সমাগম হয়েছে। তারা আনন্দে মেতেছিল। তারা সময় কাটাচ্ছিল সমুদ্রে গোসল করে। বালুচরে দৌড়ঝাঁপ করে। আবার কাউকে দেখা যায়, জেডস্কি ও স্পিডবোটকরে সমুদ্রের বুকে ছুটাছুটি করতে। এছাড়া তাদের বিনোদনের জন্য ছিল ঘোড়ায় চড়া বিচবাইক, টিউব নিয়ে সাতার কাটা আরো কতকি। সব মিলে তারা একটি আনন্দের মুহুর্ত পার করছিল।

অন্যদিকে দেখা যায়, নিরাপত্তা প্রদানে ব্যস্থ সময় পার করছে, টুরিষ্ট পুলিশ, লাইফগার্ড ও নিরাপত্তাকর্মীরা। তারা পর্যটকদের বেশি পানিতে যেতে দিচ্ছে না।

নিরাপত্তার বাঁশি দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখছে। টুরিষ্ট পুলিশেরা চেষ্টা করছে পর্যটকদের নিরাপদে ভ্রমনের জন্য।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা গৃহবধু তামান্না সোলতান জানান, বিয়ের পর পরিবার নিয়ে এই প্রথম কক্সবাজর এসেছেন। তার খুবই ভাল লাগছে। তিনি বলেন, কক্সবাজার না আসলে বুঝা যাবে না কক্সবাজার কি জিনিস। একইভাবে তার স্বামী ও সন্তানেরা আনন্দ পাচ্ছে।

পর্যটক কলেজ ছাত্র ইব্রাহিম জানান, তারা ৮ জন বন্ধু এসেছে। তাদের আনন্দের শেষ নেই। তারা খুবই মাস্তি করছে। সমুদ্র সৈকতে গোসল ছাড়াও তারা ইনানী, হিমছড়ি গিয়েছে। সেন্টমার্টিন যাবে আগামীকাল। সবমিলে তাদের খুবই ভাল লাগছে।

টানা ৩ দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই পর্যটন শহরের ৪৫০টির বেশি হোটেল, মোটেল ও কটেজের সব কক্ষই বুকিং হয়ে গেছে। আর এসব রুম বুকিং হয়েছে অনেক আগে থেকে। রুম না পেয়ে অনেক পর্যটককে ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে।

ঢাকার ইসলামপুরের বাসিন্দা ইমন সিকদার জানন, হঠাৎ সিদ্ধান্তে পরিবার নিয়ে গাড়ি করে কক্সবাজার চলে এসেছে। আর এসেই পড়েছে বিপাকে। তারা জানত না এই ছুটি উপলক্ষে কক্সবাজারের সব হোটেল যে বুকিং হয়ে যাবে। সী-বিচের আসপাশে রুম না পেলে হয় শহরের দিতে থাকতে হবে নয়ত ঢাকায় ফিরতে হবে।

কক্সবাজার কটেজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কাজী রাসেল আহমেদ নোবেল জানান, ইতিমধ্যেই সব কটেজে বুকিংহয়ে গেছে। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদানে সকল কটেজ ব্যবসায়ীদের নিয়ে একাধিকবার মিটিং হয়েছে। এছাড়া আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথেও মিটিং হয়েছে যাতে করে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।আর পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য (সিসিটিভি)ক্যামরা ছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী। যারা পর্যটকদের নিরাপদে ভ্রমনে সহযোগিতা করবে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, তারকা মানের হোটেল থেকে শুরু করে কটেজ পর্যন্ত সবখানের কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। আগত পর্যটকদের বিনোদনের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।

কক্সবাজার টুরিষ্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বলেন, ৩ দিনের লম্বা ছুটিতে প্রচুর পর্যটক আসছে। পর্যটকের নিরাপত্তায় টহল ডিউটি থাকবে পাশাপাশি থাকবে সিভিল টিম। আর টাঙ্গার পার্টি নামে একটি বিশেষ টিম থাকবে। এছাড়া হোটেল-মোটেলে টুরিষ্ট পুলিশের টহল অব্যাহত থাকবে। এছাড়া যাতায়ত ব্যবস্থার সুবিধার জন্য লাবনী থেকে কলাতলী পর্যন্ত ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাজও করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন