জোয়ার ও টানা বর্ষণে কুতুবদিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

টানা বর্ষণ আর অতিরিক্ত জোয়ারে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে তলীয়ে গেছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার নিম্নাঞ্চল। গত কয়েকদিনে উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলের এলাকায় বন্যার ন্যায় মানুষ মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।

মঙ্গলবার পর্যন্ত উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের সব বাড়িতেই জোয়ারের সময় পানি প্রবেশ করছে। কাঁচা ঘর-বাড়ি ছেড়ে বাসিন্দারা অন্যত্র চলে গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। পানি দ্রুত দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের অর্ধেক, কৈয়ারবিল ইউনিয়নে বেড়িবাঁধের বাইরে ছাড়াও ভিতরে কয়েক’শ কাঁচা বাড়িতে পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে।

একই ভাবে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে বর্ষণের পানির সাথে একাকার হয়ে নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়িতে লোনা পানি এখন। এ সব এলাকার মানুষ ভাটার সময় বাড়িতে গেলেও জোয়ারের পানি বৃদ্ধির সাথে তারা অন্যত্র আশ্রয়ে চলে যান।

এ দিকে পানি বৃদ্ধির ফলে গতকাল থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজেও ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তর ধুরুং বাঁকখালীর ৬নং ওয়ার্ডে নিবন্ধনে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক মফিজুল আলম বলেন, পথ-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় বাড়ি বাড়ি যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। কোথাও কোমড় পানি যানবাহনও চলাচল বন্ধ। বড়ঘোপ, লেমশীখালী ইউনিয়নেন বেশ কিছু গ্রামে পানি প্রবেশের খবর পাওয়া গেছে। সপ্তাহ ধরে এমন পরিস্থিতির দরুণ অধিকাংশ কাঁচা ঘর বিনষ্ট হয়ে পড়েছে বলেও এলাকাবাসি জানান।

উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরী বলেন, সময় মতো ভাঙা বেড়িবাঁধ মেরামত করা হলে অন্ততঃ জোয়ারের অতিরিক্ত পানি ঠেকানো সম্ভব হতো। ভারি বর্ষণেও পানি বৃদ্ধির দরুণ উঁচু এলাকাতেও পানি প্রবেশ করেছে। পুরো ইউনিয়ন এখন ধু ধু পানির চরে পরিণত হয়েছে বলেও তিনি জানান।

আলী আকবর ডেইল ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নুরুচছাফা জানান, তার ইউনিয়নের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলে জোয়ারের পানি ও অবিরাম বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে। কাচা ঘর-বাড়ি সহ ফসলের ক্ষতিও হয়েছে ব্যাপক।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়নে জোয়ারের পানি ও বৃষ্টির পানি বৃদ্ধির ফলে বেশ কিছু বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে এবং অনেক জায়গায় বাড়ির কাছেও পানি প্রবেশ করেছে। ওই সব ইউনিয়নে খোঁজ-খবর নিয়মিত রাখা হচ্ছে। তবে লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলেও তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন