জঙ্গি দম্পতির মরদেহ নেবে না পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ছায়ানীড় বাড়িতে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত জঙ্গি দম্পতি কামাল হোসেন ও জুবাইদা ইয়াসমিনের মরদেহ সনাক্ত করলেও পরিবারের সদস্যরা লাশ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সোমবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে থাকা কামাল উদ্দিন ও জোবাইদার লাশ শনাক্ত করে দুই পরিবার। এ সময় কামালের বাবা মোজাফফর আহমদ ও জোবাইদার বাবা নুরুল আলম সন্তানদের লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানান।

মোজাফফর আহমদ বলেন, সীতাকুণ্ডে ঘটনার পর পুলিশ যোগাযোগ করেছিল জানিয়ে বলেন, এলাকার মানুষের মুখেও এরপর শুনেছি। আজ এখানে এসে দেখলাম এ আমারই সন্তান। তার দিকে আমি ফিরেও চাইব না। আমি লাশ নেব না। ছেলে যে এত বড় ঘটনা ঘটাবে তা কখনো কল্পনাও করিনি। হাসপাতালের মর্গে এলেও মেয়ের লাশ দেখতে যাননি নুরুল আলম, ছেলে জিয়াবুল গিয়ে বোনের লাশ শনাক্ত করেন।

৭০ বছর বয়সী মোজাফফর বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার সঙ্গে একই এলাকার বাসিন্দা জোবাইদার বাবা নুরুল আলম মর্গে আসেন। তাদের সঙ্গে আসেন ছেলে ভাই জিয়াবুল হক।

মুঠোফোনে নিহত জুবাইদার ভাই জিয়াবুল হক বলেন, বোন ও বোনের সন্তানের মরদেহ আমি সনাক্ত করেছি। তবে এ মরদেহ আমরা গ্রহণ করব না। বোন ও তার স্বামীর জঙ্গি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় আমরা লজ্জিত।

জিয়াবুল হক বলেন, নিহত কামালের বাবা মোজাফফারও তার ছেলের মরদেহ গ্রহণ করবেন না বলেও জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ছায়ানীড় বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার পুলিশের অভিযানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ও গুলিতে নিহত হয় পাঁচজন। তাদের মধ্যে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন ও তার স্ত্রী জুবাইদা ইয়াসমিন এবং তাদের শিশু সন্তান নিহত হন। জোবাইদার আরেক ভাই জহিরুল হক জসিম ও তার স্ত্রী মর্জিনাকে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের নামার বাজার এলাকার সাধন কুটির থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন