ছাত্রলীগকর্মী রাসেল হত্যাকান্ডে খাগড়াছড়ি পৌরমেয়রসহ ৩৪ জনকে আসামী করে মামলা


নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি: সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল হত্যাকান্ডে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম ও তার ছোট ভাই জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলমসহ প্রতিপক্ষের অন্তত ৩৪ নেতাকর্মীকে মামলা হয়েছে। রবিবার রাতে নিহত রাসেলের মা খোদেজা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামী করা হয়েছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহাদত হোসেন টিটু মামলা দায়েরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আসামীদের নাম বলতে রাজী না হলেও হত্যাকারীদের সনাক্ত করা হয়েছে এবং হত্যাকারীদের আটক করতে পুলিশ মাঠে নেমেছে বলে জানান।

প্রসঙ্গত, শনিবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি শহরের মিলনপুর এলাকায় দুর্বৃত্তরা ছাত্রলীগ কর্মী রাসেলকে কুপিয়ে আহত করে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টা জেলার মানিকছড়ি এলাকায় তার মৃত্যু হয়।

খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি’র অনুসারীরা ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল হত্যাকান্ডের জন্য পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমের অনুসারীদের দায়ী করেছে।

রবিবার (২৫ মার্চ) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে রাসেল হত্যাকান্ডের জন্য পৌরসভার মেয়র ও তার সহযোগীদের দায়ী করে হত্যাকারীদের আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ারী দেওয়া হয়।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, গত পৌরসভা নির্বাচনের পর থেকে মেয়র রফিকুল আলমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় আওয়ামীলীগের ২৬ নেতাকর্মী পঙ্গু ও দুই হাজার নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে। সমাবেশের চলাকালে আদালত সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।

উল্লেখ, গত পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি আওয়ামীলীগে বিভক্তি দেখা দেয়। সে থেকে দুই পক্ষের মধ্যে প্রতিনিয়ত হামলা,মামলা ও সংঘর্ষ লেগেই আছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন