চকরিয়ায় বনবিভাগের জায়গা দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০

চকরিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের রিংভং বনবিটের আওতাধীন দক্ষিণ ঘুনিয়ায় জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ১০ নারী-পুরুষ। এসময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এতে ৩ জনের অবস্থা আশংকজনক হওয়ায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শনিবার ৩ জুন সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গা দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ভাগিনা আবদুল হামিদ ও দক্ষিণ ঘুনিয়া নয়াপাড়া এলাকার মৌলভী গিয়াস উদ্দিনের মাঝে। শনিবার সকালে মৌলভী গিয়াস উদ্দিনের লোকজন তার দখলীয় জায়গায় গাছের চারা রোপন করছিল। ওই জায়গায় বাগান সৃজনের পাশাপাশি মৌলভী গিয়াস উদ্দিনগং মৌসুমি সবজির চাষাবাদ করে আসছিল। কিন্তু স্থানীয় জনৈক শের আলীর পুত্র আবদুল হামিদের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী মৌলভী গিয়াস উদ্দিনের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘুনিয়া নয়াপাড়ার মৃত কলিম উল্লাহর পুত্র মৌলভী গিয়াস উদ্দিন (৪৮), তার ভাগিনা রাজারবিল এলাকার আবদুল কাদেরের পুত্র আজম খাঁ (৫৫), শামশুল আলমের পুত্র মোহাম্মদ ফরহাদ (২৮) ও তার ছোট বোন রিদুয়ান আক্তার (২৪)সহ ১০জন আহত হয়। তন্মধ্যে ৩জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এদিকে ঘটনার সংবাদ পেয়ে চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেবব্রত রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অপরদিকে আবদুল হামিদ গংয়ের ৩জন প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছে বলে দাবী করেন।

এব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন