চকরিয়ায় তিন বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতি: পিটুনিতে আহত ৫

Chakaria Pic. (2) 27.08

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়িয়া পাড়ার তিনটি বসতবাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত করেছেন সশস্ত্র ডাকাতদল। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়াটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মাতামুহুরী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ সময় ডাকাতেরা বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পরিবার সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করার পর লুট করে নেয় নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মূল্যবান মালামালসহ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মালামাল। এ সময় ডাকাতের পিটুনিতে আহত হয় তিন বাড়ির অন্তত ৫ জন। তন্মধ্যে ছুরিকাঘাতে আহত এক গৃহকর্ত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে তিন জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন পাহাড়িয়া পাড়ার মাষ্টার নুরুল ইসলামের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম (৫০), মো. শামশুল আলম (৫৫) ও তার পুত্র মোহাম্মদ রাসেল (১৬)। তন্মধ্যে ছেনোয়ারা বেগমকে ছুরিকাঘাত করলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ডাকাত কবলিত পরিবারগুলো জানায়, ১২ সদস্যের একদল মুখোশ পরিহিত ডাকাত মাষ্টার নুরুল ইসলাম, শামশুল আলম ও আবু তাহেরের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় দুটি বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পরিবার সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে ডাকাতদল। তাদের বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করায় এলোপাতাড়ি পিটুনি শুরু করে। এ সময় তার কাছ থেকে আলমারীর চাবি খুঁজলে না দেওয়ায় ছুরিকাঘাত করে। পরে চাবি নিয়ে থেকে লুট করে নেয় ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ২৫ হাজার টাকাসহ অন্তত চার লক্ষ টাকার মালামাল। একইভাবে আবু তাহেরের বাড়ি থেকেও নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং কয়েকভরি সোনা লুট করে নেয় ডাকাতদল। শামশুল আলমের বাড়ির দরজা ভাঙতে না পেরে পরিবার সদস্যদের বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে রাখে। এ সময় বাড়িটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় ডাকাতেরা। প্রায় আধঘন্টা ধরে ডাকাতি শেষে পালিয়ে যায় ডাকাতদল।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুল আজম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

3 Replies to “চকরিয়ায় তিন বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতি: পিটুনিতে আহত ৫”

  1. আতংক, অভূতপূর্ব উত্কণ্ঠা ও মিথ্যা মামলার ভয় নিয়ে প্রতিদিন শুরু হচ্ছে বি এম চর কসাই পাডা
    বাসী, আশ্রয়নের বাসিন্দা ও সাধারণ মানুষের যাত্রা। মানুষরূপী জানোয়ার খুনী ইচ্ছাইকা ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অনেক সাধারণ মানুষ ঘর ছাড়া।স্বাধীন ও
    সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছে। গোপনীয় তদন্তের মাধ্যমে খুন, চুরি-ডাকাতির হোতাদের গ্রেফতার করা জরুরি।

    1. আতংক, অভূতপূর্ব উত্কণ্ঠা ও মিথ্যা মামলার ভয় নিয়ে প্রতিদিন শুরু হচ্ছে বি এম চর কসাই পাডা
      বাসী, আশ্রয়নের বাসিন্দা ও সাধারণ মানুষের যাত্রা। মানুষরূপী জানোয়ার খুনী ইচ্ছাইকা ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অনেক সাধারণ মানুষ ঘর ছাড়া।স্বাধীন ও
      সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছে। গোপনীয় তদন্তের মাধ্যমে খুন, চুরি-ডাকাতির হোতাদের গ্রেফতার করা জরুরি।

  2. ডাকাত কবলিত পরিবারগুলো মামলা করায় ডাকাতদলের হুমকি ও মিথ্যা মামলায় পুরুষশূণ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন