ঘুমধুমে উদ্ধার হওয়া উপজাতি লাশের অন্তোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন

 

উখিয়া প্রতিনিধি:

সীমান্তবর্তী ঘুমধুমে উদ্ধার হওয়া লাশ উপজাতি মানসিক প্রতিবন্ধি মরাইয়া মার্মা’র (২৫) অন্তষ্টিক্রিয়া সোমবার বিকালে পাত্রাজিরি নামক স্থানে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনয়িনের পাত্রাজিরি গ্রামের অংতাই অংয়ের ছেলে।

এলাকাবাসী জানান, অভাবে তাড়ানায় তিনি প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার  পাহাড়ি এলাকায় ফুলঝাড়ু সংগ্রহ করতে গেলে নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে রবিবার স্থানীয় কাটুরিয়া এখলাছ মিয়া নামক এক ব্যক্তি খালে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

বিকেলে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরাইয়্যা নামক উপজাতি যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার চিংমে মার্মা সাংবাদিকদের জানান, মরাইয়্যা মার্মা একজন প্রতিবন্ধি  মৃগী রোগি ছিলেন। পাহাড়ের ফুলঝাড়ু সংগ্রহ করতে যাওয়ার পথে খাল পারা-পারের অসাবধনা বসত  পানিতে পড়ে যায়। তার মতে উপজাতি যুবকের মৃত্যুটি দুর্ঘটনা। কারণ মানসিক প্রতিবন্ধি মারাইয়্যা মার্মার এলাকার কোন শত্রু মিত্র নেই। সবাই তাকে আদর, স্নেহ করত।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে একটি বিশেষ মহল প্রতিবন্ধি যুবকের মৃত্যুকে পুঁজি করে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা শুরু করেছে। এমনকি মামলায় আসামী করার হুমকি দিয়ে অর্থও হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। উপজাতি গ্রামবাসীরা জানান, প্রতিবন্ধি যুবকের মৃত্যুর পেছনে কেউ জড়িত থাকতে পারে না।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ সাংবাদিকের জানিয়েছেন, মারাইয়্যা মার্মা মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিল। এছাড়াও মানুসিক প্রতিবন্ধি হিসাবেও তাকে সবাই জানে। তাই তার মৃত্যুকে পুঁজি করে কেউ যেন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে না পারে সে জন্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

স্থানীয় ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল কান্তি বলেন, খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া লাশ ময়না তদন্তে শেষে ধর্মীয় রীতি অনুসারে পাত্রাজিরি এলাকায় মারা যাওয়া যুবকের  অন্তোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। পুলিশের  রির্পোট লেখাকালীন সময় কোন আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি।

ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এরশাদ উল্লাহ জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন