খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি থেকে পুলিশের খোয়া যাওয়া সাব মেশিনগান উদ্ধার করা হয়েছে

laksmi kumar chakmaa

পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট:

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি থেকে উপজাতীয় পুলিশের নিকট থেকে খোয়া যাওয়া একটি সাব মেশিন গান উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পানছড়ি উপজেলা পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পার্বত্যনিউজের প্রতিনিধি জানিয়েছেন,দুই মিনিট আগে(সোয়া বারটায়) পানছড়ি উপজেলা পুলিশ এই অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

গত ৪ অক্টোবর পুলিশের নায়েক ও শান্তিবাহিনীর সাবেক সদস্য লক্ষ্ণীকুমার চাকমার কাছ থেকে এই অস্ত্রটি খোয়া গিয়েছিল।

তিনি আরো জানিয়েছেন, আজ সকাল থেকেই পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলের আশেপাশে অভিযান চালিয়ে আসছিল। এর প্রেক্ষিতে দুপুর সোয়া বারোটার দিকে অস্ত্র হারানোর স্থান কুড়াদিয়াছড়া সার্বজনীন মন্দিরের পার্শ্ববর্তী একটি পুকুর থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় অস্ত্রটি উদ্ধার করে। তবে উদ্ধারকালে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পরেনি।

উল্লেখ্য, গত ৩০/৯/২০১৪ তারিখ বিকাল তিনটায় সিসি মূলে ৬ সদস্যের টিমে পানছড়ি উপজেলাধীন কুড়াদিয়াছড়া সার্বজনীন মন্দিরে দূর্গা পূজার ডিউটি করতে আসেন লক্ষীকুমার চাকমা(৩৫)। তার নামে একটি এস.এম.জি ও চল্লিশ রাউন্ড গুলি বরাদ্দ দেয়া হয়। এই টিমের নেতৃত্বে ছিলেন কিরণ বিকাশ চাকমা। তাদের আবাসস্থল নির্ধারণ করা হয় মন্দিরের বিপরীতে অবস্থিত নলকাটা জুনিয়র হাই স্কুল। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে লক্ষীকুমার চাকমা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন অর্থাৎ গতকাল রাতে কিরণ বিকাশ চাকমা ও লক্ষীরাম চাকমা ডিউটি চলাকালে পান খেয়ে রাত ১১ থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত দাবা খেলেন। এরপর তারা ঘুমাতে যান। সকালে ডিউটিতে যাওয়ার সময় লক্ষ্য করেন তার অস্ত্রটি নেই। অনেক খোঁজাখুজির পরও এস.এম.জি’টি না পেয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘটনাটি অবগত করায়।

ঘটনার পর খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার শেখ মিজানুর রহমান পার্বত্যনিউজকে জানিয়েছিলেন, ঘটনার মূল নায়ক লক্ষীরাম চাকমা শান্তিবাহিনীর সাবেক সদস্য। শান্তিচুক্তির পর অস্ত্র সমপর্নের সময় তিনি নিজে ৭.৬২ বোরের একটি রাইফেল ও ৬০০ রাউন্ড গুলি জমা দেন।

এঘটনায় পুলিশ লক্ষ্ণীকুমার চাকমাকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আরো বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে এবং গত ২০ অক্টোবর পার্বত্যনিউজে শিঘ্রই অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছিল। পুলিশের এই অস্ত্র উদ্ধারে পার্বত্যনিউজের সেই খবরের সত্যতা প্রমাণিত হলো।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন