খাগড়াছড়িতে বন্দুকযুদ্ধে ৭লাশ: জনগণের বিরুদ্ধে সড়ক অবরোধ ডাকার হেতু কি?

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

পাহাড়ের শীর্ষস্থানীয় সশস্ত্র রাষ্ট্রদ্রোহী উপজাতীয় সংগঠন জেএসএস, ইউপিডিএফ, পাছা পরিষদ ইত্যাদির বন্দুকযুদ্ধে রক্তাক্ত হয়ে ৭টি লাশ পড়াতে এবং ৯জন আহত করাতে অবিলম্বে খুনীদেরকে আটক ও বিচারের আওতায় আনতে জোর দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন।

উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি বন্দুকযুদ্ধ, চাঁদাবাজী, খুন, ডাকাতি, মুক্তিপন, ধর্ষণ ও রাষ্ট্রদ্রোহী তৎপরতা প্রতিহত করতে পাহাড়ে অচিরেই একটি কম্বিং অপারেশন শুরু করার জন্যও সমঅধিকার নেতৃবৃন্দ জোর দাবি জানান।

শনিবার (১৮ আগস্ট) খাগড়াছড়ি জেলা সদরে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধে উভয়পক্ষের ৭ জন উপজাতীর নিহত ও ৯জন আহত হবার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে তিন পার্বত্য জেলার সকল দল ও মতের নেতৃবৃন্দ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের মহাসচিব এবং রাঙামাটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার জনাব মনিরুজ্জামান মনির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে অবিলম্বে খাগড়াছড়ির স্বনির্ভর, পেরাছড়া, পানছড়ি, রাঙ্গামাটির কুতুবছড়ি, নানিয়ারচর, সাজেক ও বান্দরবানের থানছি, রুমা, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষাংছড়িতে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের শক্তিশালী দুর্গগুলো ভেঙ্গে দেবার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। কোরবানীর ঈদের প্রাক্কালে খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ এর ডাকা সড়ক অবরোধেরও তীব্র নিন্দা জানান তিনি।

এছাড়া পার্বত্য গণপরিষদ, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ, সমঅধিকার নারী আন্দোলন, সমঅধিকার ছাত্র আন্দোলন ও সমঅধিকার যুব আন্দোলনের পক্ষ থেকে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের আত্মকলহ, চাঁদাবাজী, বন্দুকযুদ্ধ ইত্যাদি বন্ধ করে পার্বত্যবাসী জনগণের জান-মাল রক্ষা করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে কোন কোন মহল কর্তৃক উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধকে ভ্রাতৃ হত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। যে সকল উপজাতীয় খাগড়াছড়ির বন্দুকযুদ্ধে আহত হয়েছে তাদের পরিচয় গোপন রাখার চেষ্টা হচ্ছে বলেও নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন