খাগড়াছড়িতে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী খুনের রহস্য উদঘাটনে সিআইডি

Khagrachari Pic 03 copy

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়িতে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী ইতি চাকমার খুনের রহস্য উদঘাটনে পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করতে মাঠে নেমেছে সিআইডি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডি চট্টগ্রামের ইন্সপেক্টর মিতশ্রী বড়ুয়ার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের ইন্সপেক্টর মিতশ্রী বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য তারা এসেছেন।

সিআইডি পুলিশেরও ধারণা, একার পক্ষে এ হত্যাকাণ্ড সম্ভব নয়। হত্যাকারীরা  একাধিক ও পূর্ব পরিচিত হতে পারে। ইতি চাকমাকে হত্যার আগে নেশা জাতীয় মেশানো কিছু খাওয়ানো হতে পারে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্যে গলা কাটা হতে পারে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ মামলা তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে দাবি করে বলেন, তদন্তের স্বার্থে সব তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে খুব শীঘ্রই ফলাফল পাওয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় গণতোষ চাকমা ওরফে অমর বিকাশ চাকমা নামে সন্দেহজনক একজনকে আটক করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। মামলাটির তদন্ত নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে সিআইডি পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এ সময় ইতি চাকমার বড় বোন জোনাকি চাকমা বোনের খুনিদের সর্বোচ্চ  বিচার দাবি করেন।

সোমবার(২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে খাগড়াছড়ি শহরের আরামবাগ এলাকায় খুন হয় কলেজ ছাত্রী ইতি চাকমা। তাকে ধারালো দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ভগ্নিপতির ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ইতি চাকমা জেলার দীঘিনালা উপজেলার ছনখোলাপাড়ার মৃত অন্ত্ররেন্দ্রীয় চাকমার কন্যা।

 খাগড়াছড়ি শহরের আরামবাগ এলাকায় বাবুল নাগের বাসায় গত ছয় মাস ধরে ভাড়া থাকেন অটল চাকমা। এখানে ভগ্নিপতির বাড়িতে থেকে কলেজে পড়াশোনা করতো ইতি চাকমা। এর আগে থাকতেন জেলাশহরের মধুপুরে। স্ত্রী জোনাকি চাকমা দীঘিনালা উপজেলার বানছড়া আনন্দময় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।

স্ত্রী জোনাকি চাকমা জানান, তিনি বিদ্যালয় খোলা থাকলে কর্মস্থলে চলে যান এবং দীঘিনালায় বাপের বাড়িতে থেকে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করেন। জোনাকি চাকমার অনুপস্থিতিতে ভগ্নিপতি ও ইতি চাকমা ঐ বাসায় থাকতেন। হত্যাকাণ্ডের সময় জোনাকি চাকমা দীঘিনালায় বাপের বাড়িতে ছিলেন। বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঐদিন রাতেই খাগড়াছড়ি আসেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন