মতবিনিময় সভায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের খাদ্য অধিকারে  বিশেষ কর্মপরিকল্পনার প্রতি গুরুত্বারোপ

1-1-copy

থানচি প্রতিনিধি:

পার্বত্য অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় হতদরিদ্র জুমচাষীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সরকারি-বেসরাকরিভাবে স্বল্প, মধ্য ও দির্ঘস্থায়ী মেয়াদে পৃথকভাবে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহন ও বাস্তবায়ন করতে ও বিশেষ অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা আইনে অন্তর্ভূক্ত করার জরুরী । বাংলাদেশ খাদ্য অধিকার আইন ২০১৬ এর বিশেষ উদ্যোগের বিশেষ ভাবে বিষয়টি আইনের আওতায় আনার আবশ্যক।

থানছি উপজেলায় মঙ্গলবার খাদ্য অধিকার আইন-২০১৬ নিয়ে আইন কমিশনের আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহনকারীদের মতামতের ভিক্তিতে  উপরোক্ত কথা বলেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি ও  আইনকমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক । গত মঙ্গলবার থানছি উপজেলা প্রশাসনিক (গোলঘর) মিলনায়তনের খাদ্য নিরাপত্তা আইন-২০১৬ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ ও বলিপাড়া নারী কল্যান সমিতি (বিএনকেএস)’র যৌথ সহযোগীতায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও  ছিলেন আইন কমিশনের সদস্য ও বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর, একশন এইড কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবীর, সহকারি পুলিশ সুপার অনির্বাণ চাকমা,  পরিসংখ্যান ও জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে সিনিয়র সহকারি সচিব ও সাবেক থানছি  ইউএনও মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য থোয়াইহ্লামং মারমা, বলিপাড়া নারী কল্যাণ সমিতি ( বিএনকেএস)’র নির্বাহী পরিচালক হ্লাসিংনু মারমা, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান প্রমূখ। অনুষ্ঠানে সভা প্রধান ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।

প্রত্যন্ত অঞ্চল তিন্দু ও রেমাক্রী ইউনিয়নের বাসিন্দা মেনরোয়া ম্রো বলেন, প্রতি বছরে জুমের ধান ফলন না হওয়ায় ৫-৬ মাস  পর্যন্ত আমাদের খাদ্য অভাব হয়। জুমের উৎপাদিত এক ফসলি  ধান থেকে ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া ও অন্যান্য খরচ চালাতে  আমাদের এই দুর্দশা ভুগতে হয়। বিধবা অংখয় খুমী বলেন, আমাদের অভাবে সময়ের সরকারী বরাদ্ধকৃত চালও পরিমানে কম দেয় সংশ্লিষ্টরা।

জুম চাষী  খাসিং ম্রো  বলেন, আমাদের অঞ্চলে এক মৌসুমীয় চাষের অভাবকে  স্বল্প, মধ্য ও দির্ঘমেয়াদী কর্মপন্থা ও সরকারি বেসরকারিভাবে  ফলজ ও বনজ বাগান সৃষ্টি ও ছেলেমেয়েদের হোষ্টেল ভিত্তিক  লেখা পড়ার করার সুযোগ ও সহযোগীতা পেলে আমরা ও পারবো ডিজিটাল সাথে যুগপোযোগী স্বচ্ছল হয়ে তাল মিলাতে। একই কথা বললেন, রাইবাহাদুর ত্রিপুরা ও রাংমেরুং ত্রিপুরাও।

অনুষ্ঠানে  বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বলেন, অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও শিক্ষাকে প্রধান্য দিয়ে সরকারি বেসরকারিভাবে প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়ে এই এলাকাতেই আধুনিকায়ন একটি পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন