ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে ‘আদিবাসী’ উল্লেখ করে খসড়া ভূমি নীতিমালা

অন্যমিডিয়া

জাফর আহমদ :

জাফর আহমদ : পাহাড় ও সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগত জনগোষ্ঠীকে আইন করে সরকার ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’ উল্লেখ করলেও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রণয়ন করা জাতীয় ভূমি নীতিমালায় (খসড়া) উল্লেখ করা হয়েছে ‘আদিবাসী’ হিসেবে। ‘স্ট্রেংদেনিং অ্যাকসেস টু ল্যান্ড প্রপার্টি রাইটস ফর অল সিটিজেনস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ভূমিনীতি প্রণয়ন করা হয়। খসড়ার মূল কপি প্রণয়ন করা হয় ইংরেজিতে। পরে অনুবাদ করার সময় বাংলায় ‘আদিবাসী’ শব্দটি উল্লেখ করা হয়।

জাতীয় ভূমি নীতিমালার (খসড়া) ২-এর ১১ উপধারায় ‘আদিবাসীদের ভূমির অধিকার নিয়মিতকরণ’ র্শীষক কলামে ‘আদিবাসী’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়ছেে ৪ বার। ২-এর ১১-র ১ উপধারার আইন প্রণয়ন র্শীষক কলামে উল্লেখ করা হয়ছেে ২ বার। খসড়া নীতিমালার ১১ পৃষ্ঠায় আইন বিরুদ্ধ এ শব্দ উল্লখে করা হয়।

২-এর ১১ উপধারায় উল্লখে করা হয়, ‘স্বতন্ত্র ঐতিহাসিক ও আইনি ভিত্তির কারণে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ভূমি অধিকারের বিষয়টি দারুণভাবে বিতর্কিত। এ বিষয়ে চারপাশ ঘিরে সম্ভাব্য বিস্ফোরণমুখী অবস্থা বিরাজমান থাকা সত্ত্বেও সরকার আদিবাসীদের ভূমি সংক্রান্ত দাবীসমূহ র্অথর্পূণভাবে মোকাবিলার সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি’।

২-এর ১১-র ১ উপধারাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আদিবাসীর ভূমিসংক্রান্ত দাবিসমূহের যৌক্তিকতা বৈধতা নির্ধারণের জন্য সরকারকে এমন একটি আইন প্রণয়ন ও ঘোষণা দিতে হবে…। …আদিবাসীর ভূমি ব্যবস্থাপনার নিয়ম এবং উক্ত আইনে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং …।

বিষয়টি নিয়ে অনুষ্ঠানের একজন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রথমে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। পরে জানান, অনুবাদে কিছু সমস্যা আছে। এটা ঠিক করা হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে সমস্যা আছে, তা বলতে রাজি হননি তিনি। সম্পাদনা : এম আলম

সূত্র: দৈনিক আমাদের অর্থনীতি

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন