কুতুবদিয়া হাসপাতালে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের হাজিরা নিশ্চিতকরণে ডিজিটাল বায়োমেট্রিক ফিংগার প্রিন্ট মেশিন বসানো হয়ছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ডাক্তারসহ অন্যান্য কর্মচারিদের ফিংগার প্রিন্ট রেজিস্টেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।

জানা যায়, স্টাফদের অফিসে উপস্থিতি-প্রস্থানের স্বাক্ষর সনাতন পদ্ধতি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ছাড়াও  ফিংগার প্রিন্ট এর মাধ্যমে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় কর্মস্থলে হাজিরা দেয়ার প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। হাসপাতালের অফিস সময় অনুযায়ী সকাল ৮টায় ফিংগার প্রিন্ট দিয়ে হাজিরা এবং দুপুর আড়াইটায় প্রস্থান করতে হয়। ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় হাসপাতালের ডাক্তার ও অন্যান্য কর্মচারিদের মাসিক উপস্থিতির হার নির্ণয়ের জন্য ফিংগার প্রিন্টের সিস্টেম চালু করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৪ দিনে দুই তৃতীয়াংশ স্টাফ রেজিস্ট্রেশনের আওতায় এসেছেন বলে জানা গেছে।

তবে এ প্রক্রিয়ায় ডাক্তারদের কর্মস্থলে উপস্থিতি বেশ কঠিন হয়ে পড়বে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। যারা নিয়মিত ডিউটি করেননা তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে দাঁড়িয়েছে ফিংগার প্রিন্ট হাজিরা। এমনিতেই দ্বীপ এলাকায় নানা অযুহাতে সঠিক দায়িত্ব পালন করেন না কেউ কেউ। অনেক কর্মচারির জন্যও এটা বিরক্তিকর কারণ হয়েছে বলে জানা যায়। তবে সেবা প্রার্থীরা আশা করছে এ সিস্টেমের আওতায় ডাক্তারগণ নিয়মিত হাসপাতালে উপস্থিত থাকবেন।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ জায়নুল আবেদীন বলেন, নতুন ফিংগার প্রিন্ট হাজিরা প্রক্রিয়ায় তিনি ডাক্তারদের মধ্যে সবার আগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। তিনি নিয়মিত এমনিতেই রোস্টার অনুযায়ী কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন এবং এ প্রক্রিয়ায় তার কোন সমস্যা হবেনা বলে জানান তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল ফিংগার প্রিন্ট হাজিরায় অনেকটা পরিবর্তন আসবে। তবে স্টাফগণ অনিয়মিত থাকলে তারা নিয়মিত হবে। কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ বিহীন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানি, আবাসন সুবিধা পর্যাপ্ত না থাকায় নানা সমস্যায় থাকেন ডাক্তারগণ। অনেকে দূরদুরান্ত থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে আসেন। পারাপার, যাতায়াত ভোগান্তির মাঝে দ্বীপ উপজেলায় ফিংগার প্রিন্ট হাজিরা প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে নানা অসুবিধা থেকেই যায়। একটি সিস্টেমে হাসপাতাল রোগীদের সেবা দেবে এ প্রত্যাশাও করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন