কুতুবদিয়ায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু বেড়েছে

পানিতে ডুবে

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজার কুতুবদিয়ায় পুকুর কিংবা খালের পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা আশংকা হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক মাসেই উপজেলায় অন্তত ৭টি শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে বলে হাসপাতাল ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত মে মাসেই পানি ডুবির ঘটনায় ৪ শিশু নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। গত ১১ মে আলী আকবর ডেইল তাবালের চরে পুকুরে ডুবে আব্দু রহমানের শিশু পুত্র আইয়ুব মনি (৩), ২৪ মে একই ইউনিয়নে এসে মো. আনছারের আড়াই বছরের কন্যা ইফা, ২৬ মে লেমশীখালী ছিদ্দিক হাজির পাড়ার মো. হোছাইনের দেড় বছরের পুত্র মাসুদ, ২৯ মে উত্তর ধুরুং কুইল্লার পাড়ার নাজিম উদ্দিনের ১৫ মাস বয়সী কন্যা সীমা পুকুরে ডুবে মারা যায়। এর আগে উত্তরধুরুং চাঁদের ঘোনা গ্রামের একটি শিশু পানি ডুবির ঘটনায় মারা যায়।

এর ছাড়াও গত ২৬ এপ্রিল একই দিনে উত্তর ধুরুং মনছুর হাজীর পাড়ার জিয়াবুল করিমের কন্যা লাভলী (১) ও দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে হায়দার আলী মিয়াজির পাড়ার ফরিদুল আলমের সাড়ে ৩ বছরের পুত্র ইলিয়াছ পুকুরে ডুবে মারা যায় বলে হাসপাতাল তথ্যে জানা গেছে। ১০ এপ্রিল লেমশীখালীর আব্দুল্লাহর পুত্র জুনায়েদ (৫) পানি ডুবির ঘটনায় মৃত্যু হয়। পুকুর কিংবা বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালের পনিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশুগুলো প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা। পিতা-মাতা, অভিভাবকদের অসচেতনার দরুণ পানি ডুবির ঘটনায় শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।

সতরুদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান ছৈয়দ কামরুল হাসান বলেন, বাড়ির শিশুদের ঠিকমত খেয়াল না রাখা, শিশুকে ফেলে কাজ কর্মে ব্যস্ত থাকা ও অবহেলাই পানি ডুবিতে শিশু মৃত্যুর মূলকারণ। অনেক শিশু হাঁটতে না পাড়লেও পুকুরে গিয়ে তলীয়ে পড়ার ঘটনাও কম নয়।

বিশিস্ট প্রাইভেট প্রাকটিশনার ডা. মো. নুরুল আলম কুতুবী বলেন, প্রতিটি শিশুর মা বাবাসহ তাদের রক্ষণা বেক্ষণে যারা থাকেন তাদের আরো সচেতন হতে হবে। পুকুর জলাশয়ের চারিদিকে ঘেরা বেড়া থাকলে অনেকটা কমে যাবে পানি ডুবিতে শিশু মৃত্যুর ঘটনা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মো. মিজবাহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, পানি ডুবির ঘটনার মূল কারণ শিশুদের পিতা মাতা বা অভিভাবকদের অসাবধানতা। জন সচেতনা প্রচার সৃষ্টিতে সরকার বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রচার বিলবোর্ড স্থাপন করেছে। একটু সজাগ হলেই পানি ডুবির ঘটনা কমে গিয়ে শিশু মৃত্যুর হারও কমে যাবে বলে তিনি মনে কারেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন