কুতুবদিয়ায় ক্রমেই বাড়ছে যক্ষা রোগী

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় যক্ষা রোগীর সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। ফুসফুসের যক্ষাসহ গ্লান্ট টিবি বাড়ছে সমান তালে। গত দু’বছরে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে সনাক্তকৃত যক্ষা রোগীর হিসেবে তা জানা গেছে। সরকারের পাশাপাশি বে-সরকারী সংস্থা ব্রাক’র টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রাম যক্ষা রোগী সনাক্ত, চিকিৎসা ও পরিচর্যার দায়িত্ব পালন করছে।

সূত্র মতে ২০১৫ সালে উপজেলায় মোট সম্ভাব্য যক্ষা সনাক্তকরণে ১৮৯০ জনের কফ ও আনুসঙ্গিক পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে ২২৫জন যক্ষা রোগী নির্ণয় হয়। আর এদের ১৭৪জনই ছিল ফুসফুসের যক্ষা রোগী। বাকী অন্যান্য (এক্সট্রা পালমোনারী সহ) ৫১জন যক্ষা রোগী নির্ণয় হয়।

২০১৬ সালে এসে যক্ষা রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে যায় উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে। এ বছর ২২৮৫জন সম্ভাব্য ব্যক্তির কফ ও অন্যান্য পরীক্ষা করা হয়। এতে মোট ২৮৪জন যক্ষা রোগী নির্ণিত হয়। তার মধ্যে কফ পরীক্ষায় ফুসফুসে যক্ষা রোগ সনাক্ত হয় ১৮২জনের এবং ১০২জন অন্যান্য যক্ষা রোগ ধরা পড়ে।

এসব রোগীদের চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বিনামূল্যে ঔষধ-চিকিৎসা দেয়া হলেও প্রতি বছর নতুন নতুন যক্ষা রোগী সনাক্ত হচ্ছে। স্থানীয় ব্রাকের উপজেলা টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, বিনা মূল্যে প্রতি মাসে গড়ে অন্তত: ৩০০জন সম্ভাব্য রোগীর কফসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ২০-২২জন যক্ষা রোগী সনাক্ত হচ্ছে। প্রায় ৭ ভাগ যক্ষা রোগী প্রতি মাসেই নির্ণিত হচ্ছে। তবে ১৫-৬০ বছর বয়সী মানুষের মাঝে যক্ষা রোগ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া শিশুরাও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন