কাপ্তাইয়ে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের ১৫টি পয়েন্ট

madok-babsha

কাপ্তাই প্রতিনিধি :

কাপ্তাই উপজেলার ১৫টি পয়েন্টে মাদক সরবরাহ এবং বিক্রয় চলছে দেদারছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের একাধিক পয়েন্টে ইয়াবার ছোবলে গ্রাস করে ফেলছে উঠতি বয়সের স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের। নেশা করার দায়ে ইতোমধ্যে কাপ্তাই পলিটেকনিকের দুই ছাত্রকে ইনষ্টিটিউট থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলেও জানা গেছে ।

স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইয়াবা, হেরোইনসহ নানা ধরনের মাদকদ্রব্য চন্দ্রঘোনা এলাকার ফেরিঘাট হতে আনা-নেওয়া এবং ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। আর এ মাদকদ্রব্য বহন এবং ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে অনেক স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীও জড়িয়ে পড়ছে। কাপ্তাই উপজেলায় ইয়াবার ছোবলে আসক্ত হয়ে দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ। কেউ কেউ আবার নেশার টাকা সংগ্রহের জন্য চুরি-ডাকাতিতেও জড়িয়ে পড়ছে।

জানা গেছে, উপজেরার কয়লা ডিপো, কলাবাগান, মাষ্টার কলোনী, বারঘোনা, কলেজগেইট, বড়ইছড়ি, শীলছড়ি, ব্যাঙছড়িব্রীজ, লগগেইট, নতুনবাজার, শিল্পএলাকা, জাকির হোসেন স মিল এলাকা, জেটিঘাট, বিউবো পুরাতনবাজা, ব্রীকফিল্প, চিৎমর, রাইখালী, মিশন গেইট এলাকাই ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক বিক্রির মূল পয়েন্ট।

সম্প্রতি ইয়াবাসহ একজনকে আটক করে কাপ্তাই থানা, পরে তাকে আদালতে চালান করা হয়। এ নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে আলোচনা হলেও কোন সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেপিএম এলাকায় কলেজ ছাত্রদের উদ্যোগে মিছিল করা হলেও পড়ে রহস্যজন কারণে তা-ও বন্ধ করে দেওয়া হয় । এদিকে এলাকার সচেতন মহল অভিযোগ, রাজনৈতিক ছত্রছায়ার কারণে মাদক সর্বরাহকারীদের তৎপরতা দিন দিন বাড়ছে।

এনিয়ে সম্প্রতি একটি বৈঠক করা হয়’ এতে  ইউপি চেয়ারম্যান, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, ইউপি সদস্য, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রপ্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আইনশৃঙ্খা বাহিনীর প্রতিনিধি বলেন, আমরা অপরাধীদের ধরার পর আবার রাজনৈতিক ওপার মহল থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ফোন আসে। তবে এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সাথে এলাকার সচেতনমহল, রাজনৈতিক নেতৃবৃবন্দ সকলে একযোগে এগিয়ে এলে মাদকব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে অবিজ্ঞ মহল মনে করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন