কাপ্তাইয়ে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট: মাটি খুঁড়ে পানি ওঠানোর চেষ্টা
কাপ্তাই প্রতিনিধি: রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিশুদ্ধ পানির সন্ধানে মাটি খুঁড়ছেন।
প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুম এলেই বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দেয়। পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির এলাকাটির একমাত্র উৎস কাপ্তাই হ্রদ। এর ওপর নির্ভর করে চলে লক্ষ, লক্ষ মানুষ। তবে এপ্রিল হতে জুন প্রায় তিন থেকে চার মাস প্রচন্ড খড়াতাপে হ্রদের পানি শুকিয়ে যায়। ফলে দেখা দেয় পানির সংকট।
বিশেষ করে দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় বসবাসরত লোকজন পানির অভাবে মাইলের পর মাইল ছুটে চলেন। হ্রদ, ঝর্ণা শুকিয়ে যাওয়ার কারণে দুর্গম পাহাড়ী এলাকার লোকজন গর্ত করে পানি তুলার চেষ্টা করেন।
হরিণ ছড়া এলাকার মংথুই মারমা বলেন, এ মৌসুম এলেই আমরা পানির সংকটে ভুগতে থাকি। আমাদের এলাকায় যে সকল টিউবওয়েল স্থাপন করে হয়েছে তা দীর্ঘ বছরযাবত অকেজু হয়ে পড়ে আছে। ফলে এ মৌসুমে বিশুদ্ধ পানির অভাবে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে।
কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্নস্থানে সরকার কর্তৃক যে সকল টিউবওয়েল নির্মাণ করা হয়েছে তা বছরের পর বছর অকেজু হয়ে পড়ে আছে। প্রশাসনের পক্ষ হতে মেরামতের কোন বালাই নেই। কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে এ ব্যাপারে বলেও কোন ফল পাওয়া যায়নি।
কাপ্তাই জাকির হোসেন স মিল এলাকায় সুইডেন পলিটেকনিকের ছাত্ররা ম্যাসভাড়া করে পড়াশুনা করে থাকে। তাদের পানির একমাত্র উৎস কাপ্তাই হ্রদ।হ্রদে পানি থাকাকালীন মেশিন দিয়ে পানি ওঠিয়ে ব্যবহার করত, বর্তমানে হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে চরম সংকটে ভুগছে তারা। তাই ছাত্ররা কিছুটা পানির পাওয়ার জন্য হ্রদের মধ্যে গর্ত করে পানি ওঠানোর চেষ্টা করছে।
সাইফুল, আরাফাতসহ কয়েকজন ছাত্র বলেন, পানি না পাওয়ার কারণে ওযু পর্যন্ত করতে পারি না। তাই চেষ্টা করছি গর্ত খুড়ে মেশিন দিয়ে কিছুটা পানি যদি পাই।
এলাকার অভিজ্ঞ মহল মনে করেন, প্রতিটি ইউনিয়নে বিশুদ্ধ পানির জন্য ডিপটিউবওয়েল স্থাপন করা হলে এলাকার লোকজন পানির অভাব হতে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে।
শিল্প এলাকায় পানির সমস্যা অনেক আগে থেকেই আছে। গভীর নলকুপ বসিয়ে এই সমস্যার সমাধান সহজেই হবে বলে মনে হয় না। স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।