কাপ্তাইয়ে পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদা না দেওয়ায় শ্রমিকদের নির্যাতন, এলাকায় আতঙ্ক

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের নারানগিরি হতে হাফছড়ি ২টি ব্রীজ নির্মাণে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের দাবিকৃত চাঁদা  না দেওয়ার ফলে চার দিন যাবত সাত কোটি টাকার প্রায় ৩.৩কি.মি নির্মাণ কাজ বন্ধ।

নিমার্ণ শ্রমিকদের বেধড়ক মারধর করে ২৩টি মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। ঠিকাদার সুত্রে জানাযায়, এডিবির অর্থায়নে ও এলজিইডি’র সিএইচটি প্রকল্পের তত্বাবধানে ২টি সড়ক ব্রীজ উন্নয়ন কাজ ৬ নভেম্বর ২০১৮ইং তারিখ হতে শ্রমিকরা নির্মাণ কাজ শুরু করে। এদিকে পাহাড়ি একটি সশস্ত্র দল নির্মাণের পূর্বে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত কিছু টাকা পুরণ করা হলেও বাকি ৫০লাখ টাকা চাঁদা দিতে দেড়ি হওয়ার ফলে শনিবার(৮ডিসেম্বর) পাহাড়ি সশস্ত্র  সন্ত্রাসীরা গভীর রাতে  ঘুমন্ত অবস্থায়  নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর হামলা করে।

তাদের হামলায় মো. সাইফুল ইসলাম(৩০), মো. সোহাগ(১৮) ও সোহেল রানাসহ আরও কয়েকজন গুতর ভাবে আহত হয়। এ সময় শ্রমিকদের ২৩টি  মোবাইল সেট ও রক্ষীত টাকা –পয়সা সব নিয়ে যায়। আহত শ্রমিকরা ঐ রাতেই চন্দ্রঘোনা মিশন হাসপাতাল ও কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স হাসপালে  ভর্তি হয়। নির্মাণ শ্রমিকদের মারধর ও চাঁদা দাবির  ফলে গত চার দিন যাবত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে ঠিকাদার ওমর  ফারুক জানান, সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের ইতিমধ্যে বেশ কিছু টাকা দেওয়া হলেও আমাদের নিরীহ শ্রমিকদের ওপর ঘুমন্ত অবস্থায় হামলায় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। শ্রমিকরা আহত হওয়ায় কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

কাপ্তাই এলজিইডির ঐ সড়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ সহ-প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা অসহায় অবস্থায় পড়েছি। সন্ত্রাসীরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বলে তিনি তা  স্বীকার করেন। তবে ঠিকাদারগণ এ ব্যাপারে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনকে জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

এ ব্যাপারে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রাফ আহমেদ রাসেল মঙ্গলবার(১২ডিসেম্বর) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি ঘটনা জানতে পেরেছি এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বলেছি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তবে চাঁদার কারণে উন্নয়নকাজ কোনো ভাবেই বন্ধ হতে দেওয়া যাবে না বলে উল্লেখ করেন । এলাকাবাসি বলেন, নির্বাচনের পূর্বে সশস্ত্র বাহিনী অস্ত্র নিয়ে এলাকায় হামলার ফলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।  তারা  আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট এ ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন