কক্সবাজার শহরে অসহনীয় যানযট


কক্সবাজার প্রতিনিধি :
প্রচন্ড যানযট। এই জ্যাম যেন কোনভাবে ছাড়ার নয়। এই যট লেগে আছে কক্সবাজার শহরের ভোলা বাবুর পেট্টোল পাম্প থেকে বাংলাবাজার পর্যন্ত। যানযট প্রায়’ই থাকে কিন্তু এই ধরনের যানযট এত বেশি দেখা যায়নি।

খবর নিয়ে দেখা যায়, এই যানযটের মূল কারণ হল উপজেলার আগে নির্মাণাধীন কালবার্ট। অসময়ে কালবার্ট তৈরীর কারনে এই যানযটের সৃষ্টি হয়েছে। আর এই ভোগান্তির জন্য ভূক্তভোগীরা দ্বায়ী করছেন কালবার্ট নির্মাতাদের। তাদের অভিযোগ শুষ্ক মৌসুমে কাজ না করে বৃষ্টি’র দিনে কাজ করার কারনেই এই ভোগান্তি।

ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এই কালবার্টের নির্মাণ কাজ চলায় রাস্তাটি ছোট হয়ে একদিকের সড়ক হয়ে গেছে। এছাড়া কালবাড়ের ২ পাশসহ পুরো রাস্তায় পাহাড়ী মাঠির কাদা আর পানিতে ভরে গেছে। তার মধ্যে হচ্ছে বৃষ্টি। যার ফলে রাস্তার দুই পাশে যাত্রীবাহি বাসসহ টমটমের দীর্ঘ যানযট লেগে ছিল। এই যানযট সামাল দিতে রীতিমত হিমসীম খাচ্ছে পুলিশ আর ট্রাফিক।

আর এই যানযটে আটকা পড়া লোকজন অহস্য হয়ে টমটমসহ বিভিন্ন যাত্রীবাহি গাড়ি থেকে নেতে হাটতে দেখা যায়। এতে বেশি ভূগান্তিতে পড়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা ক্ষোভ আর হতাশা প্রকাশ করে বলে এটি সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

কক্সবাাজর কলেজের বিবিএর ছাত্রী আসমাউল ফারিহা রিহা বলেন, কলেজে যাতায়তের সময় এই ধরনের ভূগান্তিতে এর আগে কখনও পড়িনি। দীর্ঘ দের ঘন্টা যানযটে আটকা থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত কাদা মাটির উপর দিয়ে হেঁটে পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। এতে কলেজের জামা নষ্ট হওয়া ছাড়াও হাঁটতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

টমটম চালক লিয়াকত মিয়া জানান, ৫শ টাকা বাড়িয়ে দিলেও উপজেলা’র কালবার্ট হয়ে গাড়ি চালাবে না। কারন আগের দিন ওই সড়কে দের ঘন্টা আটকা পড়ে চরম শিক্ষা হয়েছে। কারন এক পর্যায়ে যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে যায়। কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা গাড়ি বরাবর ওই জায়গায় থেকে যায়।

কলেজ শিক্ষক মোহাম্মদ আকবর জানান, রমজানের দিনে এই ভূগান্তি খুবই অসহ্য। আগের দিন যানযটে আটকা পড়ে ইফতারের সময় পার হয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে রাস্তায় ইফতার করতে হয়েছে। এর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ’ই দ্বায়ী। তারা চাইলে এই বর্ষায় কাজ না করে শুষ্ক মৌসুমে কাজ করতে পারত। এতে করে এই ভূগান্তিতে পড়তে হতনা জনগনকে।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া জানান, শুষ্ক মৌসুমে কাজ শুরু করার চেষ্টা করেও পারা যায়নি। প্রধান মন্ত্রীর আগমন, ঘূর্ণিঝড় মোরাসহ বিভিন্ন কারনে দেরিতে কাজ শুরু করতে হয়েছে। যার ফলে বৃষ্টিতে কাজ করতে হচ্ছে। এছাড়া ওই এলাকার লোকজন বৃষ্টিতে পাহাড় কাটার ফলে পাহাড়ী ঢল নেমে রাস্তার ভরাট হয়ে যায়। যার ফলে কাজেও সমস্য হচ্ছে আর যাতায়তেও। তবে খুবই তাড়াতাড়ি কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন