কক্সবাজারের উন্নয়নের সাথে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সম্মান জড়িত: পানি সম্পদ মন্ত্রী

dsc_0564-copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রামুতে শেষ হয়েছে গ্রামবাংলার ক্রীড়া ঐতিহ্য কেন্দ্রীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। চার দিনব্যাপী এ খেলার শেষদিনে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রামুর বাঁকখালী নদী দু’পাড় গ্রামীণ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম। রামু কেন্দ্রীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ২০১৬ আয়োজন করে রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ।

পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, কক্সবাজারের উন্নয়নের সাথে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সম্মান জড়িত। উন্নয়ন মহাপরিকল্পনায় কক্সবাজার উন্নত শহরে পরিণত হবে। অচিরেই কক্সবাজার থেকে কাউয়ারখোপ পর্যন্ত বাঁকখালী নদীর দু’পাড়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। বৃহৎ প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে কক্সবাজার ও রামু উপজেলার মানুষকে ভয়াবহ বন্যার কবল থেকে মুক্ত করা হবে।

রামু কেন্দ্রীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার সর্বশেষ ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেন, সাহিত্য, সংস্কতি ঐতিহ্যে ভরপুর পর্যটন শহর রামু উপজেলা। এখানে রয়েছে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা। গ্রামীণ লোকজ ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ খেলা। শত বছর আগে রামু’র বাকখাঁলী নদীতে নৌকা বাইচ খেলা শুরু হয়েছিল। কালক্রমে এখেলা আমাদের ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। আজকের ফাইনাল খেলায় লাখো মানুষে ঢল দেখে আমি অভিভূত হয়েছি।

রামু কেন্দ্রীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলমের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি একে আহমদ হোছাইন, রামু উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহজাহান আলী, রামু থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর প্রমূখ।

ফাইনাল খেলায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি লাভ করেন পশ্চিম নোনাছড়ি ভাই ভাই কমিটি। তাছাড়া ২য় নোনাছড়ি নতুন বাহিনী তালেব মেম্বার ও  উত্তর ফতেখাঁরকুল মায়ের দোয়া ৩য় স্থান অধিকার করেছেন।  ৪ দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ২৬ নৌকা বাইচ দল অংশ গ্রহণ করেন এবং ফাইনাল খেলায় ২৬ পাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন