এমপি বদির জামিন পাওয়ার খবরে উখিয়া-টেকনাফে উল্লাস

tek-pic-copy

নিজস্ব প্রতিনিধি:

উখিয়া-টেকনাফ কক্সবাজার-৪ আসনের সাংসদ এমপি আব্দুর রহমান বদি জামিন পাওয়ায় সংসদীয় আসনে এখন আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। তাৎক্ষণিক আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উল্লাসে মেঠে উঠেন তার ভক্ত অনুসারীরা।

এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার আলম বলেন, এমপি বদি শুধু আমাদের বন্ধু নয় সে মাটি ও মানুষের বন্ধুও। উখিয়া-টেকনাফের নেতা আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি জামিন পাওয়ার খবরে সর্বত্রই আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ ও রাস্তাঘাটে পথে পথে খুশির আমেজ ও উৎসব দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, একজন সৎ ও যোগ্য নেতাকে সম্মানের সহিত জামিন দিয়ে গরীব মেহনতী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। আজ জামিন হওয়ায় আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি।

এদিকে এমপি বদির জামিন উখিয়া উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি জাফর আহমদ, টেকনাফ পৌর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলম বাহাদুর, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জননেতা মো: শাহজাহান, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার আলম, হ্নীলা ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার জামাল হোছাইনসহ উখিয়া-টেকনাফবাসী ও আপামর জনসাধারণ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, দুদকের দায়ের করা মামলায় তথ্য গোপনের অভিযোগে থাকা কারাগারে উখিয়া-টেকনাফ আসনের সাংসদ আবদুর রহমান বদি জামিন বুধবার জামিন পান। গত ২ নভেম্বর এমপি বদিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত জামিন বাতিল করায় রায়ের পর পুলিশ এমপি বদিকে কারাগারে পাঠান।

২০১৪ সালের ২১ আগস্ট সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে এমপি বদির বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান। গত ১৯ অক্টোবর মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ২ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন বিচারক। মামলাটিতে ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলার রায়ে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে বদিকে খালাস দেন আদালত। তবে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে সাজা দেন।

ঢাকা বারের একাধিক আইনজীবী জানান, ক্ষমতাসীন দলের কোনো এমপির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হওয়ার নজির এটাই প্রথম।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন