একটি ব্রীজের অভাবে চরম দূর্ভোগে বরকলের পাহাড়ি গ্রামের মানুষ

Rangamati ander manik pic1

ফাতেমা জান্নাত মুমু:
রাঙামাটির জেলার প্রত্যন্ত ও দূর্গম বরকল উপজেলার ৩নং আইমাছড়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চারটি পাহাড়ি গ্রামের মানুষ রয়েছে চরম ভোগান্তিতে। স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত একটি বাঁশের সাঁকো ওই গ্রামের হাজারো মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। র্দীঘ দিনেও ওই গ্রামে কোন ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ না নেওয়ায় জনসাধারনের যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাছাড়া শুধুমাত্র একটি ব্রীজের অভাবে ভেঙ্গে পড়ছে এ গ্রামের শিক্ষা ব্যবস্থাও। দূর্গম এ উপজেলায় শিক্ষা ব্যবস্থা চালু থাকলেও যোগাযোগের কারণে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

রাঙামাটির বরকল উপজেলার ৩নং আইমাছড়া ইউনিয়নের আন্দার মানিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বৈশাখী চাকমা, শুভ চাকমা, সাগরিকা চাকমা, মানসি চাকমা, সুদীপ্ত চাকমা বলেন, রাঙামাটির বরকল উপজেলার ৩নং আইমাছড়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দূর্গম প্রত্যন্ত আন্দার মানিক গ্রামে এ বিদ্যালয়টি অবস্থিত। প্রতিদিন সকালে দূর্গম পাহাড় ও আকাঁ বাকাঁ পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয় তাদের। বিদ্যালয়ের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম একটি বাশেঁর সাকোঁ থাকলেও সেটিও এখন জরাজীর্ণ অবস্থায়। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পাড়া পাড় করতে হয় ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীসহ গ্রামের মানুষদের। সম্প্রতি টানা বর্ষণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়াসহ পাহাড়ি ঢলে নড়োবড় হয়ে পড়েছে সাকোঁটি।

স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে, বরকল উপজেলার ৩নং আইমাছড়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দজর আদাম, গুইছড়ি, কালাপুনাছড়া মুখ ও আন্দার মানিক এ চার গ্রামে সরকারী আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। চার গ্রামের কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থার আন্দার মানিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহন, স্থানীয়দের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত চার গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা মাত্র মাধ্যম একটি বাশেঁর সাকোঁটি।

এব্যাপারে আন্দার মানিক গ্রামের মেম্বার শান্তি কুমার চাকমা বলেন, ইউনিয়নে যে অর্থ বরাদ্দ আসে তা দিয়ে এতো বড় ব্রীজ করা সম্ভব নয়। ফলে গ্রামের মানুষদের সহায়তায় বাশেঁর সাঁকো তৈরী করে কোন ভাবে চলাচল করতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শ্যামরতন চাকমা জানান, একটি ব্রীজের অভাবে চার গ্রামের মানুষের দীর্ঘ সময় ধরে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতো বড় পাকা ব্রীজ করার মতো সামর্থ্য ইউনিয়ন পরিষদের নেই। দূর্গম এলাকায় শুষ্ক মৌসুমে মালামাল পরিবহনে সমস্যা থাকলেও জুন মাসের পরে নদীতে পানি থাকার সময় মালামাল নিয়ে গেলে ব্রীজটির কাজ করা যাবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন