উৎসবমূখর পরিবেশে গুইমারাতে বর্ষবরণ

গুইমারা প্রতিনিধি:

পাহাড়ে বসবাসরত উপজাতীদের প্রাণের উৎসব বৈসাবি আর বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতির উৎসব পহেলা বৈশাখ মিলে পাহাড় জুড়ে বইছে এখন উৎসবের আমেজ। পুরানো জীর্ণতা ও গ্লানি ভুলে পহেলা বৈশাখ নতুনকে আহ্বান করে।  এ প্রাণের উৎসব নব-বর্ষকে বরণ করে নিতে গুইমারাতে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও রবি ঠাকুরের এসো হে বৈশাখ এসো এসো … সুরের তালে তালে মেতে উঠেছে গুইমারার সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।

শনিবার সকালে গুইমারা সেনা রিজিয়নের উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে গুইমারা আর্মি স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। পরে আর্মি স্টেডিয়ামে বেলুন আর শান্তির পায়রা উড়িয়ে ২দিনের বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুজ্জামান।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে সিন্দুকছড়ি জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল রুবায়েদ মাহমুদ হাসিব, মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজি শামশের উদ্দিন, বর্ডার গার্ড হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক লে. কর্নেল হোসাইন সাদেক, গুইমারা রিজিয়নের ডি কিউ মেজর নাফিজাত হোসাইন, জিটু আই মেজর আশিকুর রহমান, সাবজোন অধিনায়ক মেজর আলতাফ গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া, গুইমারা থানা অফিসার ইনচার্জ গেয়াসউদ্দিন সহ সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময়ে সামরিক পদস্থ কর্মকর্তা ছাড়াও গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা সভাপতি জাহাঙ্গির আলম, হাফছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরীসহ

গুইমারা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দগণ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাসহ বৈশাখের রঙে রঙিন মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে শোভাযাত্রা ও মেলার মাঠ।

মেলায় মারমা সম্প্রদায়ের জলকেলি পানি খেলা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এখেলার উদ্বোধন করেন মিসেস কামরুজ্জামান। এতে মারমা তরুন তরুনীরা একে অপরকে নির্দিষ্ট করে পানি নিক্ষেপ করে।

এর আগে পহেলা বৈশাখের প্রথম প্রহরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়ার সভাপতিত্ব গুইমারা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পান্তা ভোজনের আয়োজন করা হয়। এতে  গুইমারার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ পান্তা ভোজনে অংশ নেন।

বিকাল বেলায় গুইমারা রিজিয়ন মাঠের কানায় কানায় পূর্ন হয় বিনোদন প্রেমী গুইমারার মানুষ। তবে পবিত্র শবে মেরাজের কারণে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময় সীমা থাকায় বিনোদনের আশায় আসা লোকজন গুইমারা বিজিবি নিয়ন্ত্রিত ক্যাপে পিলাক, সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত কাশঁবনে ভিড় করে।

গুইমারার বিনোদন প্রেমী মানুষের উপস্থিতি দেখে গুইমারা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা বলেন, গুইমারাবাসী বরাবরই বিনোদন প্রেমী। গুইমারা রিজিয়নের পক্ষ থেকে প্রতি বছর ২-৩ দিনের জন্য যে বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয় তাতে মানুষ উৎসবমূখর পরিবেশে অংশ গ্রহণ করে। এজন্য গুইমারা আওয়ামী লীগ পরিবারের পক্ষ থেকে রিজিয়ন কমান্ডার মহোদয়কে ধন্যবাদ ওঅভিনন্দন জানাচ্ছি। তবে আমরা চেষ্টা করছি এবিনোদন যাতে সামনে আরও ব্যাপক পরিসরে কিভাবে  করা যায়। আশা করছি সামনে সকলের চেষ্টা থাকলে তা সম্ভব হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন