উখিয়ায় বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হয়রানী মূলক মামলার অভিযোগ

উখিয়া প্রতিনিধি:

উখিয়ার অসহায় বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা কমলা বিবির পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। চাকবৈঠা নয়া পাড়া গ্রামের প্রভাবশালী আমির হামজা প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে আক্রোশ মূলক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে দমন পীড়ন করতে এসব সাজানো মামলা দায়ের করছে বলেও অভিযোগ করেন। হয়রানি মূলক মামলা থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা।

জানা যায়, উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া পালং খলুবাপের পাড়া গ্রামের মৃত হাবিব উল্লাহর স্ত্রী কমলা বিবি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা য্দ্ধুকালীন সময়ে তিনি পাক-হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হন। ওই সময় সব কিছু হারিয়ে এ পরিবারটি নিঃশ্ব হয়ে যায়। বর্তমানে কমলা বিবিকে বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় একই পরিবারে সদস্যা গুলবাহারও বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা।

অভিযোগে প্রকাশ, একই ইউনিয়নের চাকবৈঠা গ্রামের আমির হামজা নামক জনৈক প্রভাবশালী ব্যক্তি আক্রোশ মূলক বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা কমলা বিবির ছেলে রফিক আলম (৫০),ফরিদ আলম (৪৭), নাতি স্কুল ছাত্র মিজানুর রহমান (১৭) ও কলেজ ছাত্র রুবেল (১৮) এর বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় হয়রানী মূলক মামলা দায়ের করেছে ।

বয়োবৃদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমলা বিবি অভিযোগ করে বলেন  ১৯ জানুয়ারি প্রভাবশালী আমির হামজার নেতৃত্বে লাঠিয়াল বাহিনী আমাদের চলাচলের রাস্তা কেটে ফেলে যাতাযাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এতে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে আমার ছেলে ও নাতিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং জি আর ১৬/২০১৭। এছাড়াও অনুরুপ ভাবে সাজানো ঘটনা সাজিয়ে কক্সবাজার আদালতে আরও দুইটি মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় গ্রাম বাসীরা জানান ২৪ জানুয়ারি আমির হামজা ক্ষীপ্ত হয়ে ভালুকিয়া হারুন মার্কেট এলাকায় বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে প্রকাশ্য সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা সহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এব্যপারে  মুক্তিযোদ্ধা বাদী হয়ে উখিয়া থানায় আমির হামজার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করেছে । যার নং ১০১৪ তারিখঃ-২৬/০১/২০১৭।

স্থানীয় ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও যুবলীগ নেতা আবুল ফজল ভুলু সাংবাদিকদের বলেন, একজন বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একের পর এক সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করা খুবই দুঃখজনক। ভূক্তভোগী বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে হয়রানী মূলক মামলা থেকে রেহায় দিতে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন