উখিয়ায় অপহরণের ১৪ দিনেও উদ্ধার হয়নি স্কুলছাত্রী

উখিয়া প্রতিনিধি:

উখিয়ার মরিচ্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী জুমু আক্তার অপহরণের ১৪ দিন পার হলেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপহরণের ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চরম হতাশ ও পরিবারের সদস্যরা চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছে। অপহৃত ছাত্রী উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নে পাতাবাড়ী নলবনিয়া গ্রামের ভুট্টু মিয়া চৌধুরীর কন্যা। এব্যাপারে মাতা দিদুআরা বেগম বাদী হয়ে শনিবার (৩ নভেম্বর) বিভিন্ন মামলার আসামি যুবক খালেক মোহাম্মদ ফারুককে প্রধান আসামি করে ৩ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।

থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী প্রিয়া আক্তার জুমু বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দারিয়ারদীঘি বড়ডেবা গ্রামের আব্দুল খালেক সিকদারের পুত্র খালেক মোহাম্মদ ফারুক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এমনকি পথে মধ্যে বিভিন্ন প্রকার অশ্লীল বাক্যসহ অপহরণের হুমকি ধামকি দেয়।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২১ অক্টোবর বিকেলে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে ফারুকের নেতৃত্বে একদল লোক নলবনিয়া এলাকা থেকে স্কুলছাত্রী জুমুকে অপহরণ করে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

মাতা দিদুআরা বেগম সাংবাদিকদের জানান, ফারুক একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা রয়েছে। যার মামলা নং- ৫, তারিখ- ০৫-০৯-২০১৮ইং। ধারা- ৩৮০।

তিনি আরও বলেন, আমার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিবাহের প্রস্তাবও দিয়েছিল। আমরা প্রত্যাখান করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ফারুকের নেতৃত্বে অপহরণের ঘটনাটি সংঘটিত করেন। এদিকে অপহৃত অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুল ছাত্রী জুমুকে উদ্ধারের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে নানা তদবির ও চেষ্টা করার পরও সন্ত্রাসীর কবল থেকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে ফারুক, তার পিতা আব্দুল খালেক সিকদার ও বোন ফারজানাকে বিবাদী করে উখিয়া থানায় এজাহার দায়ের করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন