ইয়াবা নেটওয়ার্ক ভাঙ্গতে তৎপর প্রশাসন

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

বন্দুকযুদ্ধে নিহত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের অংশ হিসেবে কক্সবাজারে ইয়াবা নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের তৎপরতায় ইতোমধ্যে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেছেন।

তবে এখনও আসছে ইয়াবার চালান। বিভিন্ন সময় তা ধরাও পড়ছে। অবস্থার পরিবর্তনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের সময় গত দুই মাসে টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন।

সর্বশেষ শুক্রবার ভোরে টেকনাফ উপজেলায় পুলিশ ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৪ জন নিহত হয়েছেন।

এর মধ্যে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায় পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরী পাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে নজির আহমদ (৪০) ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়ার মোহাম্মদ জাকারিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩০)।

অন্যদিকে সাবরাং এলাকায় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়ার কালু মিয়ার ছেলে আব্দুল শুক্কুর (৫০) ও তার ছেলে মোহাম্মদ ইলিয়াছ (৩০)।

এসময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ইয়াবা ও ৩টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এরা সবাই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করে পুলিশ ও বিজিবি।

আইন-শৃঙ্খলা বহিনীর তথ্য মতে, গত বছরের মে মাসে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর শুধু কক্সবাজারে এখন পর্যন্ত ৬১ জন নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে ৫১ জনের বাড়ি টেকনাফ উপজেলায়। তবে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত (দুই মাসে) কক্সবাজার জেলায় বন্দুকযুদ্ধে মোট ২৫ জন নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন ২২ জন।

এদিকে চলমান অভিযানে যদি ইয়াবার চালান বন্ধ না হয়, তাহলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে মাদক বিরোধী অভিযান চালাবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।

তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী, ফলে কেউ রেহাই পাবে না। ইয়াবা ব্যবসা ছেড়ে আত্মসমর্পণ করুন, তা না হলে পরিণতি ভালো হবে না এবং ইয়াবা বন্ধ করতে পুলিশ সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন