ইউপি নির্বাচনে সূর্যমুখী ফুল ও তালগাছ প্রতীক বিভ্রান্তি

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার:

খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী আসনে ভোট বাতিলের সংখ্যা বেশি। ৩টি ইউনিয়নে সংরক্ষিত নারী আসনে মোট ভোট বাতিলের সংখ্যা ১হাজার ৩’শ ১৯টি। চেয়ারম্যান পদের ভোট বাতিল হয় ৫৬৯টি। সে হিসেবে নারী আসনে ভোট বাতিলের সংখ্যা দ্বি-গুনেরও বেশি।

লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৭হাজার ৩’শ ৪৫জন। মোট ভোট কাস্টিং হয় গড়ে ৮৩ শতাংশ। তবে এর মধ্যে দুল্যাতলী ইউনিয়নে ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় একজন নির্বাচিত না হলে এই বাতিলের সংখ্যা আরো যোগ হতো। ফলাফলে দেখা যায়, লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নে ৭৬৫, দুল্যাতলী ইউনিয়নে ২১৩ এবং বর্মাছড়ি ইউনিয়নে ৩৪ ভোট নারি আসনে ভোট বাতিল হয়। লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নে যতিন্ত্র কার্বারী পাড়া ভোট কেন্দ্রে ১৩৬টি ভোট বাতিল হয়। কাস্টিং ভোট ছিল ৮৩৩টি। লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ ভোট কেন্দ্রে ১১৩টি ভোট বাতিল হয়। সদর ১নং ওয়ার্ডে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাতিল ভোটের সংখ্যা ১০৪টি।

তবে কম ভোট বাতিল হয় বর্মাছড়ি ইউনিয়নে উল্টাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে মাত্র ১৫টি। তবে এখানে কাস্টিং ভোট ৩২৮ ভোট। ভোটারদের ধারনা সূর্যমূখী ফুল এবং তালগাছ প্রতীক চিনতে ভুল করার কারণেই নারী আসনে ভোট বাতিলের সংখ্যা বেশি। তালগাছ এবং সূর্যমুখী ফুলের ধরণ প্রায় একই, এমন বিভ্রান্তির কারণে ভোটাররা এ ভুলটি করতে পারেন বলে অনেকে মনে করেন। কোনো কোনো ভোট কেন্দ্রে তালগাছ প্রতীকের প্রার্থী না থকলেও সেখানে তালগাছ প্রতীকে সীল পরেছে।

এদিকে সাধারণ সদস্য পদে পুরো উপজেলার ২৭টি ওয়ার্ডের ভোট বাতিল হয় ৮২৫টি। সব চেয়ে বেশি ভোট বাতিল হয় যতিন্দ্র কর্বারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ১১৭ ভোট। মোট ভোটার ৯৬৭ যার মধ্যে কাস্টিং ভোট ছিল ৮৩৩। সব চেয়ে কম ভোট বাতিল হয়েছে লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নের মংহলা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র মাত্র ৪ভোট। এখানে মোট ভোটার ৫৩৩। মোট ভোট কাস্ট হয়েছে ৪৩০টি।

সবচেয়ে বেশি ভোট বাতিল হওয়া কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন, বাতিল ভোটের মধ্যে বেশিরভাগ ব্যালটে সিল মারা হয় নি, সাদা ব্যালট পেপার জমা দিয়েছে। এছাড়াও একাধীক প্রতীকে সিল মারা ব্যালট পেপারও পাওয়া গেছে, যা বাতিল হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। প্রতীক চিনতে না পারার কারণটি থাকতে পারে বলে তার ধারনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাচন অফিসার সারওয়ার ইউসুফ জামাল অবশ্য তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হন নি। অপর দিকে ৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ব্যালট পেপারে বাতিল ভোটের সংখ্যা ৫’শ ৬৯টি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন