আরসার নতুন বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে তোলপাড়, বিপাকে মিয়ানমার!

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

আলকিন থেকে আরসা,আগের সংগঠন আরএসও, বলা হয়ে থাকে এরা রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ের জন্য মায়ানমার মিলিটারির সাথে বিরুদ্ধে লড়াই করছে আর মিলিটারি তার প্রতিশোধে হাজার হাজার রোহিঙ্গাদেরকে তাঁর ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। এবং রোহিঙ্গা জাতি নিধনের সর্বশেষ প্রক্রিয়াও শেষ করেন যার ফলাফল বাংলাদেশের ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে নানা সময়ে এবং ২০১৭ সালে সব চেয়ে বেশি।

আরসাকে নিধন করার নামে যে অভিযান মিয়ানমার মিলিটারি পরিচালনা করেন প্রধানত বিশ্বে প্রমান হয়েছে এটার আসল উদ্দেশ্য।

আগস্টের শুরুর দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হাফেজ আতাউল্লাহ নামে এক যুবকের সাথে পরিচিত হয় বিশ্ববাসী যেকিনা আরসার নেতা হিসেবে পরিচিত হন।

যে সব রোহিঙ্গা যুবক সেই হামলার সাথে জড়িত ছিল তাদের অনেকের সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, তাদের অনেকে এই নেতাকে দেখেনি, আবু ওমর জুনুনি নামে এক ব্যক্তির জীবন পরিচিত উইকিপিডিয়ায় আছে যেখানে তার শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করে সব দেওয়া আছে।

 যে চারটি গ্রামে মিয়ানমার মিলিটারি গণহত্যা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেই গ্রামে এতদিন ধরে মিয়ানমার আর্মির অভিযোগ ছিল এখানে আরসারা ঘাঁটি করেছে এবং সেই কারণে তারা রোহিঙ্গাদের বাড়িতে বাড়িতে আরসা খুঁজে আগুন দেয় এবং গণহারে ধর্ষণ করে।

গত চারমাস ধরে দেশি বিদেশি গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না যে আদৌ সেখানে আরসা নামে কেউ আছে কিনা। এদিকে গতকাল ২১ ডিসেম্বর অফিসিয়াল পেইজে একটি বিবৃতি দেয় আরসা।

বিবৃতি থেকে জানা যায় , ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে সেখানে তারা অনুপস্থিত ছিল এবং যেই অভিযোগটি করা হয়েছে সেটা মিথ্যা এবং বানোয়াট।

তাদের এই বিবৃতি থেকে একটা প্রশ্ন অনেকের মনে জানান দিচ্ছে যে, তাহলে আগস্টের হামলার পরে মিয়ানমার মিলিটারি কীভাবে নিশ্চিত না হয়ে এতোগুলো নিরীহ মানুষের ওপর গুলি চালালো যেটা মানবতাবিরোধী এবং আইন মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়।

এদিকে আরসার এই বিবৃতি ছড়িয়ে পড়ার পর রোহিঙ্গাদের মধ্যে এক ধরণের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা বিশেষজ্ঞ বলেন, আরসা কেন এতদিন পরে এই বিবৃতি দিল কেন তারা আগে থাকে জানান দেয়নি তাদের উপস্থিতি তাহলে হয়তো কিছু অসহায় রোহিঙ্গা বেঁচে যেত।

তুলাতলি থেকে আসা রোহিঙ্গা যুবক করিম বলেন, আমরা আগে থেকে জানতাম সেখানে কেউ নাই। যখন বাসায় বাসায় মিলিটারি আসছে প্রথমদিকে তাদেরকেও এই কথা বলা হয়েছে, অনেকের কাছ থেকে শুনেছি আরসার লোকজন মিয়ানমার মিলিটারির পাশ দিয়ে হেঁটে যায় তারা কিছু বলে না।

মধ্য বয়স্ক রোহিঙ্গা করিম , বর্তমানে এ ব্লকে আছেন , তিনি বলেন ‘ আমরা আরসা নামে কেউ চিনি নাম ও শুনিনি কিন্তু হাফেজ আতাউল্লাহ কথা শুনেছি তার নাকি ৬ ভাই আছে, এক ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছিল।

 

সূত্র: বিডি মর্নিং

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন