আদিবাসী দিবস গুরুত্বপূর্ণ হলেও রাষ্ট্র তা পালন করে না: আবুল মকসুদ
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, ‘আদিবাসীদের রাষ্ট্র যেমন ক্ষুদ্র তেমনি আদিবাসীদের এ দাবিও ক্ষুদ্র। রাষ্ট্র যেকোন সময় ইচ্ছা করলেই এই দাবি মেনে নিতে পারে। দেশে নানান ধরনের দিবস পালিত হয় কিন্তু আদিবাসী দিবসটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও রাষ্ট্র তা পালন করে না। অথচ জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের এটা পালন করার কথা।’
শুক্রবার ঢাকা শাহাবাগের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্ত্বরে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এর নেতৃত্বে অন্যান্য সংগঠন ও উপজাতি ছাত্র সংগঠন সমূহ জাতিসংঘ ঘোষিত অন্যান্য দিবসের মতো ‘আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস’ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবিতে এক সমাবেশ ও র্যালির আয়োজন করে। অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘যে কোন সরকারের একটা চরিত্র থাকে তা গণতন্ত্রই হোক বা অন্য কোন হোক। কিন্তু আমাদের দেশের চরিত্র দেখে মনে হচ্ছে এর কোন চরিত্র নেই। এটা যেন চরিত্রহীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।’ তিনি উপজাতিদের এ ন্যায্য দাবিকে মেনে নিতে রাষ্ট্রের প্রতি আহবান জানান।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণ এমনকি সরকার প্রধানগণ আদিবাসী দিবসে বাণী দিয়েছেন। আদিবাসী হিসেবে তাদের সকল অধিকার পূরণের আশ্বাষ দিয়েছেন কিন্তু তারা সেটা ভুলে গেছেন।’ তিনি এ দাবিকে মেনে নিয়ে উপজাতি মানুষের প্রতি মানবিক আচরণের আহবান করেন।
এ ছাড়াও সমাবেশে আরোও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, নুমান আহাম্মদ খান, রাজীব মীর, দীপায়ন খীসা ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, আগামী ৯ আগস্ট বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ ঘোষিত ২১তম ‘আদিবাসী দিবস’ উদযাপিত হবে। ১৯৯৩ সালকে জাতিসংঘ ‘আন্তর্জাতিক আদিবাসী বর্ষ’ ঘোষণা করেছিল। এ বছর জাতিসংঘ সদর দফতরেও এই দিবস পালিত হবে। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বাণী প্রদান করবেন।
এই ধারাবাহিকতাই, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দিবসটি পালন করে আসছে। এ বছরও তারা কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে দিবসটি পালন করবে।
বাঙালিদের বিরুদ্ধে লিখলে সাংবাদিকদের বিদেশ সফরসহ নানা সুবিধা মেলে সেখানে, পক্ষে লিখলে ততোটাই অবহেলা ও ঝুঁকির শিকার হতে হয়। সেখানে দায়িত্বরত সরকারি কর্মকর্তাদের প্রমোশন ও বিদেশে পোস্টিং মেলে না বাঙালি ঘেঁষা হলে।
বুদ্ধিজীবীদের বেশিরভাগ অংশই বিদেশ সফর, ‘সুশীল’ খাতায় নাম তোলার প্রয়োজনে ও টুয়েসডে, থার্সডে পার্টিতে নিমন্ত্রণ হারানোর ভয়ে বাঙালির পক্ষে কথা বলতে নারাজ।
বাংলাদেশের খুব বিখ্যাত একজন রাজনীতিক ও কলামিস্ট বলেছিলেন, একটি জাতীয় সেমিনারে পার্বত্য বাঙালিদের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে বাসায় ফেরার সাথে সাথে একটি প্রভাবশালী পাশ্চাত্য দেশের দূতাবাস থেকে তার কাছে ফোন করে জানতে চাওয়া হয় তিনি বাঙালিদের পক্ষে ঐ সেমিনারে কোনো কথা বলেছিলেন কিনা?