আগের মতো হাস্যোজ্জল রয়ে গেলেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী শাবানা
বিনোদন প্রতিবেদক:
বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবানা অভিনয় ছেড়েছেন দেড় যুগ হলো। কিন্তু দর্শকরা এখনো তাকে ছাড়েননি। ভক্তদের হৃদয়ে স্থান রয়েছে তার। দর্শকরা তার ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। সবসময় মিডিয়ার আড়ালে থেকেছেন । তবে মাঝে মাঝে বাংলাদেশে আসেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। তেমনি এক বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে ‘ওয়েডিং স্টোরি’র ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি হলেন শাবানা।
শাবানার প্রকৃত নাম আফরোজা সুলতানা হলেও তিনি পরিচালক এহতেশামের দেওয়া ‘শাবানা’ নামে পরিচিতি পেয়েছেন । তার পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে। ১৯৬৭ সালে প্রখ্যাত পরিচালক এহতেশামের পরিচালনায় ‘চকোরী’ চলচ্চিত্রে সহশিল্পী চিত্রনায়ক নাদিমের সাথে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় । পরে রাজ্জাকের সঙ্গে শাবানার অভিনয় শুরু হয় ‘অবুঝ মন’ এবং ‘মধুমিলন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। পরবর্তীতে এ জুটি দারুণ জনপ্রিয় হয়।
১৯৯৭ সালে শাবানা হঠাৎ চলচ্চিত্র থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া বন্ধ করে দেন। পরে ২০০০ সাল থেকে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে বসবাস করে আসছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় এক যুগ পরে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে কেশবপুরের বড়েঙ্গা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে নিজস্ব বসতবাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন । কয়েকদিন থেকে আবার পাড়ি জমান আমেরিকায়।
শাবানার খুব ইচ্ছা ছিল বেগম বেগম রোকেয়া চরিত্রে অভিনয় করবেন। সুভাষ দত্ত ছবিটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ১৯৯৫ সালে ছবির মহরতও অনুষ্ঠিত হয়। অল্প কিছু কাজ হলেও সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
অভিনয়ে পাশাপাশি তিনি তার বাবাকে নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। যেখান থেকে নির্মাণ করা হয়েছিল ‘মুক্তি’ চলচ্চিত্রটি, যা ১৯৬৯ সালে মুক্তি পায়।
সিনেমায় ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে নায়ক নাদিমের সঙ্গে শাবানাকে জড়িয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়লেও তিনি সেই গুজব মিথ্যা বলে জানান। পরে ১৯৭৩ সালে ওয়াহিদ সাদিক নামে এক সরকারি কর্মকর্তা বিয়ে করেন শাবানা। পরবর্তী সময়ে তিনি শাবানার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসএস প্রোডাকশনের দেখাশোনা করতেন।