লক্ষ্মীছড়িতে এক বাঙ্গালি পরিবারকে ২০ বছর ধরে বসবাস করা বাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকি

Khagrachari-300x226
লক্ষ্মীছড়ি প্রতিনিধি :

খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসা এক বাঙ্গালি পরিবারকে ভূমি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই পরিবারটিকে ঘর ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক এর মেজ ভাই আব্দুল খলিল আখন্দ প্রায় ২০ বছর ধরে উপজেলা সদর থেকে আধা কিলোমিটার দূরে হাসপাতাল এলাকায় উপজাতীয়দের থেকে জমি কিনে বসবাস করে আসছিরেন।

গত প্রায় সপ্তাহ দুই ধরে উপজাতীয়দের একটি আঞ্চলিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সেই ভূমি ছেড়ে চলে আসার জন্য আব্দুল খলিল আখন্দকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এতদিন ধরে বিষয়টি চাপা থাকলেও ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় ২জন উপজাতীয় যুবক বাসায় ঢুকে বাড়ির মালিক খলিলকে না পেয়ে তার স্ত্রী লাকি বেগম ও কন্যা জিন্নাতুন নিশাকে প্রাণের ভয় থাকলে ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়। ভয়ে তারা বাড়ি থেকে বের হয়ে এলে খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

থানার সামনে বাঙ্গালিরা জড়ো হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দ্রুত সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. আব্দুর রকিব ওই পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে বক্তব্য গ্রহণ করার পর নিরাপদ মনে না করায় সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বড় ভাই আব্দুল মালেক আখন্দের বাসায় রাত্রি যাপনের জন্য নিয়ে আসেন।

আব্দুল মালেক মেম্বার জানান, মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাজেন্দ্র চাকমার কাছে বিষয়টি জানানো হয়। যাচাই করার জন্য তিনি একদিন সময় চান, কারা হুমকি দিতে পারে বা আদৌ সঠিক কিনা তা জানানোর কয়েক ঘন্টা পরেই এ ঘটনা ঘটল। তিরি আরো বলেন, ইউপিডিএফ’র পক্ষ থেকেই ভূমি থেকে ওঠে আসার জন্য হুমকি দেয়া হয়েছে।

লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিাসর্স ইনচার্জ মো. আব্দুর রকিব সাংবাদিকদের জানান, আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, বুধবার উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের সাথে জরুরি বৈঠক বসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে, এ ঘটনার শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে পারে বলে স্থানীয়দের অনেকে আশঙ্কা করছেন।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন