রামগড়ে চাঁদা না পেয়ে লেকের বাঁধ কেটে দিয়েছে ইউপিডিএফ, ভেসে গেল ২০ লক্ষ টাকার মাছ

রামগড় প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ির রামগড়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি বাগানের মৎস্য খামারের বাঁধ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এতে খামারের প্রায় ২০ লক্ষ টাকার বিভিন্ন মাছ ভেসে গেছে। অভিযোগ উঠেছে, বাগানের বাৎসরিক চাঁদা পরিশোধে বিলম্বের কারণে ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসীরা বাঁধটি কেটে দিয়েছে।

এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৈচাকমাপাড়া এলাকায় অবস্থিত জিবি হর্টিকালচার নামে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাগানে ৩-৪ একরের একটি বিশাল জলাশয় রয়েছে। পাহাড়ের ঝিঁরিতে বাঁধ দিয়ে তৈরি করা জলাশয়ে মৎস খামার করেছেন বাগান মালিকরা। গেল রবিবার ভোরে  প্রায় ৫০ ফুট লম্বা ও ২০ ফুট উচ্চতার এ বাঁধটি কেটে দেয়া হয়। ফলে বিশালায়তনের এ মৎস খামারের বিপুল পরিমান মাছ জলে ভেসে যায়।

জানাযায়, ৮ বছরের পুরানো এ খামার থেকে রুই, কাতলা, শিং, মাগুরসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে যায়। অভিযোগে জানাযায়, বাঁধ কেটে দিয়ে সন্ত্রাসীরা প্রচুর পরিমান মাছও ধরে নিয়ে যায়।

স্থানীয় একাধিক বাঙ্গালি গ্রামবাসী জানান, জিবি হর্টিকালচার নামে এ বাগানটির মালিক চট্টগ্রামে থাকেন। অন্যসব বাগানের মত এ বাগানের মালিককেও  ইউপিডিএফ এবং জেএসএস’কে নির্ধারিত হারে বাৎসরিক চাঁদা দিতে হয়। প্রতি বছর ৩০ জুনের পরই বাৎসরিক চাঁদা পরিশোধ করে সংগঠনগুলোর কাছ থেকে নতুন টোকেন সংগ্রহ করতে হয়। জিবি হর্টিকালচারের মালিক পক্ষ  বাৎসরিক এ চাঁদা পরিশোধ না করায় আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য সন্ত্রাসীরা মৎস্য খামারের বাঁধটি কেটে দেয়।

গ্রামবাসীরা জানান, বর্তমানে তৈচাকমাপাড়া এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করছে ইউপিডিএফ’র প্রসীত গ্রুপ। এ গ্রুপের সন্ত্রাসীরাই বাঁধটি কেটেছে।

তারা আরও জানান, যথা সময়ে চাঁদা পরিশোধ না করায় এর আগে সন্ত্রাসীরা কয়েক দফা ওই বাগানের আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফলবান গাছ কেটে দেয়।

রামগড় থানাধীন নাকাপা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিন জানান, বাঁধ কাটার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কারা, কি কারণে মৎস্য খামারের বাঁধটি কেটেছে এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে মামলা করতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন