রাঙামাটির সাজেকে মালভর্তি ট্রাকে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের আগুন

vb 300815

স্টাফ রিপোর্টার:
রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় বাঙালী ব্যবসায়ীর মালভর্তি ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা। রবিবার সকাল ৮টা ২০মিনিটে সাজেক থানার অন্তর্গত দুইটিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম সওদাগরের ক্রয়কৃত ৭ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে একটি ট্রাক ফেনী থেকে বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা যাবার পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ৮ জনের একটি উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল দুইভাগে বিভক্ত রাস্তার দু’পাশ থেকে এসে ট্রাকটির গতিরোধ করে। এসময় তারা ট্রাকটিতে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং ট্রাকের ড্রাইভার ইসমাইলকে(৩০) মারধোর করে ও তার মোবাইল ও গাড়র চাবি কেড়ে নেয়।

একই সময়ে তারা ট্রাকের হেলপার জয়নালকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় বিপরীত দিক থেকে একটি গাড়ি আসতে দেখে সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর গাড়ি মনে করে হেলপার ইসমাইলকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় ড্রাইভার ও হেলপার মিলে ট্রাকে লাগানো আগুন নেভাতে সক্ষম হয় এবং ট্রাকটি রক্ষা পায়। ট্রাকে চাল, ডাল, পিঁয়াজসহ বিভিন্ন মুদি দোকোনের সামগ্রী ছিল।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মাসখানেক আগে ইউপিডিএফ নামে এক পাহাড়ী সন্ত্রাসী সংগঠন বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা বাজার ব্যবসায়ীদের নিকট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করলে ব্যবসায়ীরা তা দিতে অস্বীকার করে। সে কারণেই সংগঠনের সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মনে করেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা বাজারের ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে এবং স্মারকলিপি প্রদান করেছে।

vb300815 1ট্রাকে আগুন লাগানোর খবর পেয়ে বাঘাইহাট জোন থেকে সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম ঘটনাস্থলে যায়। ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারের ভাস্যমতে সেনাবাহিনী সন্ত্রসীদের ধরতে ঐ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে এবং এদেরকে কোনরকম ছাড় দেওয়া হবেনা বলে জানিয়েছেন বাঘাইহাট জোন সূত্র।

সাজেক থানার অফিসার ইন্সার্জ মোঃ নুরুল আনোয়ার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং পুলিশ সন্ত্রাসীদের ধরতে চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে ইউপিডিএফ’র কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিরণ চাকমার সাথে কথা বললে তিনি জানান, ট্রাকে আগুন লাগানোর ঘটনায় ইউপিডিএফ কোন রকম জড়িত নয়। উদ্দেশ্যমূলখ কোন একটি পক্ষ ইউপিডিএফকে এ ঘটনার সাথে জড়ানোর চেষ্টা করছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন