মাটিরাঙ্গায় খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুদ্ধ বাঙালীরা

mmmm

স্টাফ রিপোর্টার:

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা উপজেলার অপহৃত মটর সাইকেল চালক আজিজুল হাকিম শান্ত’র লাশ উদ্ধারের পর বিক্ষুদ্ধ সাধারণ জনগণ খাগড়াছড়ি- ঢাকা, খাগড়াছড়ি- চট্টগ্রাম সড়ক অবরোধ করেছে। ফলে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীরা এ সময় মাটিরাঙ্গা বাজারের সকল দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে। সড়কে সম্পূর্ণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

অপহরণের চারদিন পর রবিবার সকালে মাটিরাঙ্গার আলুটিলার সল্ট প্লান্টেশন এলাকায় তার জবাই করা লাশ পাওয়া গেছে। লাশ দেখে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে অপহরণের দিনেই তাকে জবাই করে থাকতে পারে অপহরণকারীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে জনতা এক উপজাতীয় নাগরিককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। খগেন্দ্র ত্রিপুরা নামের এই পাহাড়ী বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

মাটিরাঙ্গার উপজেলা চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, ইউএনও বিএম মশিউর রহমান, ওসি শাহাদাত হোসেন টিটো, ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন এবং বিক্ষুদ্ধ লোকদের শান্ত থাকার অনুরোধ করলেও এলাকাবাসী অনুরোধ উপেক্ষা করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বিকালে মাটিরাঙায় এক বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। বিক্ষুদ্ধ জনতা দাবী করছে যতদিন শান্ত’র হত্যাকারীদের উদ্ধার না করা হবে ততদিন তারা এই অবরোধ চালিয়ে যাবে।

স্থানীয় বাঙালী সম্প্রদায় এ ঘটনার জন্য উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের দায়ী করলেও পুলিশ বলছে তদন্ত ছাড়া এ হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত তা বলা সম্ভব নয়।

এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাস আল মামুন পার্বত্যনিউজকে বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটি সদরের রাজবন বন বিহারের পাশের বিহারপুর এলাকা থেকে ৩ বাঙালি শ্রমিককে অপহরণ করেছে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। খাগড়াছড়ির পানছড়ি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ঠিকাদারসহ ২ জন বাঙালিকে অপহরণ করেছে, ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ থাকার পর মাটিরাঙা উপজেলার মটরসাইকেল চালক আজিজুল হাকিম শান্তর লাশ উদ্ধার করা হলো। এভাবে একের পর এক নিরীহ বাঙালীদের অপহরণ করছে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা। অথচ পুলিশ ও প্রশাসন নির্বিকার। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা অপহরণ করার পর মুক্তিপণ ছাড়া পুলিশ প্রশাসন কাউকে উদ্ধার করতে পেরেছে আজ পর্যন্ত এমন নজির নেই।

আলকাস আল মামুন বলেন, পুলিশের কাছে জানতে চাইলে তারা সব সময় বলে, কেউ মামলা করেনি বলে তারা কিছু করতে পারছে না। অথচ প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে না পারায় বাঙালীরা অপহৃত স্বজনদের প্রাণ বাঁচাতে মামলা করতে ভয় পায়। এই কারণ দেখিয়ে প্রশাসনও গা ছাড়া দিয়ে থাকে। কিন্তু এভাবে চলতে পারে না। অচিরেই অপহৃতদের উদ্ধার না করলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল বাঙালীদের ঐকবদ্ধ করে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।

বিস্তারিত আসছে…

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন