ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভষ্মিভূত করল্যাছড়ি বাজার
লংগদু প্রতিনিধি:
এক ভয়াবহ অগ্নিকোণ্ডে ভষ্মিভূত হয়েছে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় করল্যাছড়ি বাজারটি। সোমবার দিবাগত রাত তিনটা পনের মিনিটে করল্যাছড়ি বাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফলে বাজারের অন্তত সত্তরটি দোকান পুড়ে চাই হয়ে যায়। এতে কমপক্ষে তিন কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। আগুন নিভাতে গিয়ে দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছে। এরা হলেন মো. ইউসুফ আলী(৩২) ও মো. আল-আমীন(১৭)। এদেরকে লংগদু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, সোমবার মধ্যরাতে করল্যাছড়ি বাজারের সবাই যখন ঘুমে আছন্ন তখন আল-আমিনের একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হলে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। লোকজন কিছু বুঝে উঠার আগেই আগুন মুহুর্তের মধ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করে এবং চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ থাকায় আগুনের গতিবেগ বেশি ছিলো।
আগুন লাগার পরপরই লংগদু জোনের সেনাবাহিনী, আনসার, পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে সিংহভাগ বাজারটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এদিকে করল্যাছড়ি বাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিস দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিভানোর কাজে সহযোগিতা করে।
এলাকাবাসীরা জানান, ব্যবসায়ীদের মধ্যে ইউসুফ মাস্টার (ঔষধের দোকান), আব্দুস সাত্তার (ঔষধের দোকান), সাইফুদ্দিন (ঔষধের দোকান), সুমন হোসেন, মাঈন উদ্দিন ও শাহিন (মুদি দোকান) আগুনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। অগ্নিকাণ্ডের সময় বেশিরভাগ দোকানগুলো তালা বদ্ধ থাকায় অবস্থায় পুড়েছে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মুদি ব্যবসায়ী সুমন হোসেন জানান অনেক দোকানদার তাদের দোকানগুলো তালা দিয়ে বাড়িতে থাকে। আগুন লাগলে তারা কেউ দোকানের কাছেও আসতে পারেনি।
লংগদু সেনা জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল আ. আলীম চৌধুরী, লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাদ্দেক মেহেদী ইমাম অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাজার পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলেন। সরকারি সাহায্য বরাদ্দের জন্য ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান জরিপ করে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করা হবে বলেও এসময় তারা জানান।
এছাড়া লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ রঞ্জন কুমার সামন্ত, বাইট্টাপাড়া ১আনসার ব্যাটালিয়নের কমান্ডার সোহেলুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক সরকার, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো. জানে আলম, আটারকছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা, গাঁথাছড়া বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের সুপার হাফেজ মাওঃ হাজ্বী ফোরকান আহম্মদ, লংগদু প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. এখলাস মিঞা খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।