বান্দরবানে সন্ত্রাস চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন থেকে সন্তু লারমাকে প্রতিহতের ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে। সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় ওরফে সন্তু লারমাকে বান্দরবানে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
পাহাড়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজি, অপহরণ, বাঙালী হত্যাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাম্প প্রত্যাহার বন্ধের দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন বুধবার বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে জাগো পার্বত্যবাসী’র ব্যানারে কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে রাজনৈতিক, সামাজিক, ছাত্র, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার নারী-পুরুষ অংশ গ্রহন করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে শুধু বাঙালী নয়, সাধারণ পাহাড়ীরাও জিম্মি-অসহায় হয়ে পড়েছে। শন্তু লারমা শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে পার্বত্যাঞ্চলে অসহযোগ আন্দোলনের কথা বলে বেপরোয়া চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
বক্তারা বলেন, পাহাড়ে চাঁদাবাজি অতি মাত্রায় বেড়ে গেছে। পাহাড়ে চলাচলরত প্রতিটি গাড়ি, ইটভাটা, কনক্ট্রাকশনের কাজ ও কাঠের ব্যবসা এবং শ্রমিকদের বিপরীতে কোটি কোটি টাকা চাঁদা সংগ্রহ করছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। জনসংহতি সমিতির নেতারা ওই চাঁদার টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেন। চাঁদার টাকার একটি অংশ ব্যয় হয় অস্ত্র ও গুলি কেনায়।
সমাবেশে সন্তু লারমার ১৩ মার্চ বান্দরবানের সফর প্রতিহত করার ঘোষনা দিয়ে বক্তারা বলেন, সন্তু লারমার চাঁদাবাজদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য বান্দরবানের কে এস মং। পাহাড়ীদের অধিকার আন্দোলনের নামে মুখোশ পরিহিত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাঙালী নেতা আবিদুর রহমান, আব্দুল জলিল, গোলাম সরোয়ার সোহাগ, মোহাম্মদ কামাল, নুরুল আলম, সিরাজ খলিফা, ইয়াসিন চৌধুরী প্রমুখ।
বান্দরবানের সাধারন ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারসহ অন্যান্যরা জানিয়েছেন,পাহাড়ী আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোসহ কয়েকটি সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ সংগঠনের কারণে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কার্যত কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারী উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দেয়ার চিন্তা করছে । পাহড়ে চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।