‘পানছড়িতে মন্ত্রী আসেন না কেন’?

Baly bridge

শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি:

নড়বড়ে বেইলী ব্রীজের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই খাগড়াছড়ির সাথে পানছড়ি হয়ে দুদুকছড়ার সড়ক যোগাযোগ। যেগুলোতে বছরের বেশীর ভাগ সময়েই থাকে পাটাতন ও নাট-বল্টু বিহীন। তাছাড়া ভাইবোনছড়া ইউপির মারমা সংসদ এলাকায় বেইলী ব্রীজের পাটাতন দুমড়ে-মুচড়ে দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে গত দু’মাসে দু’বার। বিকল্প সড়ক না থাকায় ব্রীজের তলদেশ দিয়েই ময়লা-আবর্জনার স্তুুপ পার হতে হতে ভুক্তভোগীদের মুখে একটাই প্রশ্ন, পানছড়িতে মন্ত্রী আসেনা কেন? অন্তত: একবারের জন্য হলেও মন্ত্রীকে কাছে পেতে চায় পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের পথচারী থেকে শুরু করে সর্বসাধারণ। কয়েক পথাচারীর বার বার আকুতি “কয়েকদিন পর পরই ব্রীজের বেহাল দশা এই বেহাল দশার হাত থেকে রক্ষা পেতে সেতু মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের একবার হলেও আসা দরকার”। তিনি যদি না ও আসেন তবে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরকে এলাকায় চান তারা।

পথচারীদের দাবী, দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় মন্ত্রীদের আগমনের আগাম খবরেই পরিপাটি করে তোলা হয় রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে ব্রীজ-কালভার্ট। কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় কোন মন্ত্রীর আগমন না ঘটার ফলে পানছড়িবাসীর আফসোস, মন্ত্রীর আগমন ঘটলেই আমরা ভাঙ্গাচোরা সড়ক আর লক্কর-ঝক্কর কালভার্টের হাত থেকে অন্তত: রেহাই পেতাম। খাগড়াছড়ি-পানছড়ি-দুদুকছড়া সড়কের প্রায় ১০টির অধিক ব্রেইলী ব্রীজের অবস্থা বড়ই নাজুক।

পথচারীরা জানায়, এই সড়কের বেইলী ব্রীজগুলো যেমনি লক্কর-ঝক্কর তেমনি পাটাতনগুলোও ভাঙাচোরা। কিছু কিছু ব্রীজের পাটাতনও নেই। তাছাড়া কোন দুর্ঘটনা ঘটলে পাটাতনে ঝালাই দিয়েই সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়-দায়িত্ব শেষ। বর্তমানে ব্রীজ-কালভার্টের পাশাপাশি সড়কটির অবস্থাও তেমন ভালো না। যখনই যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানই কাজ পায় তারা তাদের মনগড়া মতো কাজ করে। যার ফলে সারা বছরই বড় বড় গর্তের মধ্যে দিয়েই করে থাকে যান চলাচল। অনেকে রসিকতা করে এই সড়কটিকে কোমর ব্যাথার ঔষধের সড়ক হিসাবেও আখ্যায়িত করে থাকে।

এ ব্যাপারে পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের দায়িত্বে থাকা খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসিফ আশরাফ জানান, পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের বেইলি সেতুগুলোর প্রজেক্ট প্রায় চুড়ান্ত। পুরো জেলায় ৫৬টি পিসি ও আরসিসি গার্ডার ব্রীজের টেন্ডার সহসাই হবে তার মাঝে পানছড়ি-খাগড়াছড়িরগুলোও রয়েছে। তিনি আশা করছেন বছর খানেকের মধ্যেই এসব ব্রীজের কাজ শেষ হবে।

এদিকে পানছড়ি-লোগাং দুদুকছড়ি সড়কের দায়িত্বে থাকা খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: মমতাজুর রহমান জানান, এ সড়কের ব্রীজগুলোর ডিজাইন এখনও আসে নাই। তাছাড়া পানছড়ি-লোগাং-দুদুকছড়ি সড়ক রয়েছে ৬নং প্যাকেজ বর্তমানে ১, ২ ও ৩নং প্যাকেজের কাজ শুরু হবে।

তিনি আরো জানান, লোগাং-দুদুকছড়ি সড়কের একটি বেইলী ব্রীজের অবস্থা খুবই নাজুক। সেই বেইলী ব্রীজটি মেরামতের জন্য টেন্ডার হবে এবং সহসাই চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।

ভুক্তভোগীদের দাবী এসব বেইলী ব্রীজ জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত সংস্কারের মুখ দেখে নাই। বেইলী ব্রীজগুলো জন চলাচলের উপযোগী করে তোলে যাত্রী সাধারণ যেন নির্ভয়ে চলাচল করতে পারে এ ব্যাপারে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন যাত্রীসাধারণ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন