পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু
নিজস্ব প্রতিনিধি:
কাপ্তাই হ্রদে চারমাসেরও অধিক সময় ডুবে থাকার পর হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় অবেশেষে ভেসে উঠলো রাঙামাটির সিম্বল খ্যাত ঝুলন্ত সেতু। তবে ঝুলন্ত সেতুটি ভেসে উঠলোও পর্যটক পারাপার বন্ধ রয়েছে।
সংস্কার করে আগামী সপ্তাহের দিকে পর্যটকদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এমন আশ্বাস দিয়েছেন পর্যটন কর্তৃপক্ষ।
ঝুলন্ত সেতুটি কয়েকমাস হ্রদের পনিতে তলিয়ে থাকার কারণে সেতুর বেশ কিছু অংশ ক্ষতি হয়েছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তলিয়ে যায় ঝুলন্ত সেতুটি।
সেতুটিকে তলিয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন সময় পর্যটক সংশ্লিষ্টরা বারবার তাগিত দেয়ার শর্তেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়সারা ভাবের কারণে এ উদ্যোগ সফল হচ্ছে না বলে তাদের অভিযোগ। যে কারণে বেশ কয়েক বছর যাবৎ বর্ষা মৌসুমে ঝুলন্ত সেতুটি তলিয়ে যায়। রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
পর্যটন কর্পোরেশন সংশ্লিষ্টরা জানান, পাহাড় আর হ্রদের মিতালী শহরে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ হচ্ছে ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যর ঝুলন্ত সেতটিু। ১৯৮৫ সালে এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
তারা জানান, বছরে প্রায় দুই লাখ দেশি ও বিদেশি পর্যটক সেতুটি দেখতে আসেন। এতে জনপ্রতি ২০ টাকা প্রবেশ ফি থেকে আয় আসে বছরে অন্তত ৪০ লাখ টাকা। মাসের হিসেবে এটা গড়ে সোয়া তিন লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। গত চার মাসে ১৩ লাখ টাকার চেয়েও বেশি রাজস্ব আদায় থেকে সরকার বঞ্চিত হয়েছে বলে তারা জানান।
পর্যটন কর্পোরেশ রাঙামাটি শাখার ব্যবস্থাপক জালাল উদ্দীন মো. আকবর জানান, ঝুলন্ত সেতুটি চার মাস হ্রদের পানিতে ডুবে থাকায় সেতুর অনেক পাটাতন নষ্ট
হয়ে গেছে।শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে সেতুটি সংস্কারে কাজ শুর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, সংস্কার করার পর আগামী সপ্তাহের দিকে সেতুটি পর্যটকদের পারাপারে উন্মুক্ত করা হবে। সেতুটি সংস্কারে যেমন ব্যয় হচ্ছে তেমনি সেতুটি বছরের অর্ধেক সময় ডুবে থাকায় সরকার হারাচ্ছে ব্যাপক রাজস্ব এর থেকে পরিত্রাণের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি কোন মন্তব্য করেনি।
চলতি বছরের ১১আগস্ট রাঙামাটিতে প্রবল বর্ষণের সময় ঝুলন্ত সেতুটি তিন ফুট কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে যায়। এরপরই সেতুর উপর দিয়ে পর্যটকদের চলাচল বন্ধ করে দেয় পর্যটন কর্পোরেশন।