নাইক্ষ্যংছড়ির গ্রামীন সড়কগুলোর বেহাল দশা: চরম দুর্ভোগে হাজারো জনসাধারণ

বাইশারী প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের সব কটি গ্রামীন সড়ক বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। বর্তমান বর্ষা মৌসুম শেষের দিকে হলেও বিগত দিনের পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টির ফলে সড়ক এখন আর সড়ক নেই।  পরিণত হয়েছে পাহাড়ি ছোট ছোট ছড়ায়। অধিকাংশ গ্রামীন সড়কে এখন আর গাড়ি যোগাযোগ নাই।  রাস্তাগুলো কোথাও কোথাও আবার মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ এবং ইউনিয়নের সাথে ওয়ার্ডের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বলে জানালেন  সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান বাহাইন মার্মা।

সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে ঘুমধুম ইউনিয়নে দূরত্ব প্রায় ৬০ কি.মি।  সোনাইছড়ি ১৫ কি.মি, দোছড়ি ১০ কি.মি., বাইশারী ১৭ কি.মি।  এছাড়া এক একটি ইউনিয়নে ওয়ার্ড থেকে পরিষদে দূরত্ব ৩০ কি.মি ও রয়েছে। ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়নে যোগাযোগ এখন বড় কঠিন হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ সড়কে কিছু কিছু ইট বিছানো এবং কিছু রয়েছে কাঁচা রাস্তা।

বর্তমানে পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় রাস্তাগুলোর সর্বনাশ হয়ে গেছে। এদিকে সোনাইছড়ি থেকে হেডম্যান পাড়া, লামার পাড়া, ঠাকুর পাড়া, হেডম্যান পাড়া, বটতলী পাড়া, সোনাইছড়ি-ঘুমধুম সড়ক মৃত্যুকূপে পরিণত। ঘুমধুম ইউনিয়ন সদর থেকে বাইশপারী, তুমব্রু, ফাত্রাঝিরি, গর্জনবনিয়া, রেজু আমতলী সহ অনেক সড়কের সাথে ইউনিয়ন সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ।

দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ বলেন, কোন রকমে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করা গেলেও পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় পানি এবং পাহাড়ের মাটিতে সমস্ত সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে এবং খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।

সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, তার এলাকায় শুধু সড়ক নয়, বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে পাঁচ শতাধিক বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইউনিয়নে চাকঢালা, ফুলতলী, আশারতলী, কম্বনিয়া, ছেরার কুল, জারুল্যা ছড়ি, আদর্শগ্রামসহ অনেকগুলো সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছেন বলে জানান।

বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানী বলেন, তার ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ড কাগজীখোলা ইট বিছানো সড়কের ইটগুলো পর্যন্ত পানিতে ভেসে গেছে। তাছাড়া ছোটখাটু বক্স কালভার্ট পানি দুমড়ে মুচরে ফেলেছে। তিনি আরো বলেন, বাইশারী চাকপাড়া, করলিয়ামুরা, লম্বাবিল, পশ্চিম বাইশারী, দক্ষিণ বাইশারী, উত্তর বাইশারী, নারিচবুনিয়া-বাইশারী সড়কসহ অসংখ্য সড়ক পানিতে ভেঙ্গে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। বিষয়টি তিনি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে জানিয়েছেন বলে জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন