চারটি ব্রিগ্রেড ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের বাকি সব সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হবে- শেখ হাসিনা
স্টাফ রিপোর্টার :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেবলমাত্র ভূমি সংস্কার ব্যতীত পার্বত্য শান্তিচুক্তির অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী চারটি ব্রিগেড ব্যতীত অধিকাংশ সেনা ক্যাম্পও সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ভূমি সংস্কারের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন একাধিকবার গঠন করলেও কমিশনের কাজ সন্তোষজনকভাবে এগোয়নি। কারণ সেখানে কিছুটা অবিশ্বাস এবং দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করছিল।
আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর বেইলী রোডে অফিসার্স ক্লাবের পার্শ্ববর্তী স্থানে নির্দিষ্ট দুই একর জমির ওপর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণের ভিত্তিফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিভ্রান্তি ও উদ্বেগ বাড়ছে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনা ক্যাম্পগুলো অধিকাংশ’ই তুলে নেয়া হয়েছে। যা সামান্য কিছু আছে- চারটি জায়গায় কেবল ৪টি ব্রিগেড থাকবে। বাকীগুলো সব সরিয়ে নেয়া হবে। যেজন্য রামুতে আমরা একটা সেনানিবাস করেছি। ঐ অঞ্চলে তাঁর সরকার শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আইন-২০০১ এর কতিপয় সংশোধনীর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে সম্ভব সবকিছু করতেই সরকার প্রস্তÍুত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীরাও বাংলাদেশের নাগরিক। সুতরাং সরকার ঐ অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ খাত এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ প্রহণ করেছে।
পার্বত্য শান্তিচুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায়নে সব পক্ষকে এক সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ কমিটির আহবায়ক এবং জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন,চট্ট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদেরে চেয়ারম্যান জ্যেতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা,পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।
প্রায় দুই একর জমির ওপর নির্মাণাধীন এই পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স প্রকল্পে ৬ তলা ভবন,মাল্টি পারপাস হল, ডরমেটরী, প্রশাসনিক ভবন, জাদুঘর, লাইব্রেরী, ডিসপ্লে সেন্টার, থিয়েটার হল, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর বাসভবন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসভবন থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণের সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে এই এলাকার ভূ-বৈচিত্র্য, নৈসর্গিক সৌন্দর্য এবং সেখানে বসবাসকারী নানা সম্প্রদায়ের বিষয়ে জানার সুযোগ হয়। যা তাঁকে এ অঞ্চলের জনগণের কল্যাণে কার্যক্রম গ্রহণে অনুপ্রাণিত করে।
তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সকল জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতের সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যেই আমরা শান্তি চুক্তি করি। যে চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে সৃষ্ট দু’দশকের বেশী সময় ধরে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর অনেক সরকারি দপ্তর পার্বত্য এলাকায় স্থাপিত হয়েছে, বেড়েছে কাজের সুযোগ। পার্বত্যবাসীর জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। ঢাকা ও অন্যান্য শহরে পার্বত্যবাসীর যাতায়াত বেড়েছে। ঢাকায় অবস্থানের জন্য এতদিন তাদের নিজস্ব কোন ভবন ছিল না। রাজধানীতে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি ঠিকানা করে দেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স’ নির্মাণের জন্য বেইলী রোডে দুই একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়।
এ কমপ্লেক্সে এসে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ যেন বুঝতে পারে, এটাই তাদের এলাকা। সেভাবেই এই কমপ্লেক্স করা হচ্ছে উল্লেখ করে কমপ্লেক্সটির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত গণপূর্ত মন্ত্রীর প্রতিও তিনি তাগিদ দেন। এই কমপ্লেক্স জাতীয় মূল ¯্রােতধারার সাথে পার্বত্যবাসীকে যুক্ত করার কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা পালন করবে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, শান্তিচুক্তির স্বাক্ষরের পর আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পার্বত্যবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে তিনটি পার্বত্য জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ১ হাজার ৩৬৯ কি.মি. রাস্তা হচ্ছে। তিন পার্বত্য জেলায় ৮৭৩ কি. মি. বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ ও প্রত্যকে ঘরের বিদ্যুৎ পৌঁছানোর জন্য ৮৭৯ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। কারিগরি প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। থ্রি জি সুবিধাসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ী জনগণের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মানোন্নয়নে রাঙ্গামাটিতে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উন্নয়ন কৌশল ও অগ্রাধিকার নির্ধারণের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদী উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নেও কাজ করছি। এ অঞ্চলে পর্যটকরা যেন আরও বেশি আকৃষ্ট হন, সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
তিনি স্মরণ করেন, পার্বত্যাঞ্চলে এক সময় সংঘাত ছিল। পাহাড়ি অঞ্চলে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই সংঘাত বন্ধে শান্তিচুক্তি করেছে। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তি হয়েছিলো। যদিও শান্তিচুক্তি এতো সহজ ছিলো না। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। শান্তিচুক্তির অধিকাংশ ধারা আমরা বাস্তবায়ন করেছি। অথচ বিএনপি সেই শান্তিচুক্তির বিরোধিতা করেছিল। তারা হরতাল ডেকেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে যখন অস্ত্র সমর্পণের আয়োজন করা হয়, তখন বিএনপি হরতাল ডাকে। তারা বলেছিল অস্ত্র সমর্পণ করা যাবে না।
বিএনপি নেত্রী সে সময় বলেছিলেন, এই চুক্তি হলে নাকি ফেনী থেকে পুরো পার্বত্যাঞ্চল ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। দেশের ভেতর থেকেই এই চুক্তির বিরোধিতা হয়েছে। কেন হয়েছে তাও জানি না, তবু সেই চুক্তি হয়েছে। পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি ফিরেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
পার্বত্য জগণের শিক্ষার প্রসারে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে মাতৃভাষার শিক্ষাদানের জন্য বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় বর্ণমালা সংরক্ষণ এবং নিজ নিজ ভাষায় শিক্ষাদানের কাজ শুরু হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকায় হোস্টেলসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় স্থাপন হবে। দুর্গম এই এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হলেই তা আবাসিক প্রতিষ্ঠান হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় প্রশাসনিক ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সুবিধার্থে আমরা নতুন উপজেলা ও ইউনিয়ন গঠন করবো। ইতোমধ্যে একটি নতুন উপজেলা গুইমাড়া, একটি নতুন থানা সাজেক, একটি নতুন ইউনিয়ন বড়থলি গঠন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা চারবার পার্বত্য চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। আমরাও পার্বত্য অঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছি।
এ অঞ্চলের জন্য পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল থেকে এএসআই পদ মর্যাদার চাকরিতে ৫০ ভাগ ক্ষুদ্র নৃ-গেষ্ঠীর কোটা সংরক্ষণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ইনস্টিটিউটগুলো পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ধারা ও ঐতিহ্য এবং স্বকীয়তা সমুন্নত রাখতে সচেষ্ট রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মত সার্কেল চিফদের ১ হাজার টাকা এবং হেডম্যানদের ১০০ টাকা হারে সম্মানীভাতার প্রচলন করেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাই সার্কেল চিফ এর সম্মানী ১০ হাজার টাকা, হেডম্যানদের সম্মানী ১ হাজার টাকা এবং কারবারিদের সম্মানী ৫০০ টাকায় উন্নীত করেছি। বিভিন্ন মৌজায় হেডম্যানদের অফিস তৈরি করে দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিচুক্তি হলেও ২০০১ বিএনপি ক্ষমতায় এসে পার্বত্য অঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্ক দেয়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা করে।
প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতার শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
তিনি এদিন ৮ মে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে তাঁর মাতা এবং বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন,‘আমাদের সকলের জীবনে মায়ের অবস্থান ও অবদান দুই-ই অনন্য। আমার মা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। আমার পিতা জেলখানায় বন্দী থাকাবস্থায় তিনিই পরিবারকে আগলে রেখেছেন। দলের নেতা-কর্মীদের সংঘবদ্ধ করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাঁকেও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ আরো সুন্দরভাবে বসবাস করবেন এবং তাদের আর্থসামাজিক আরো উন্নয়ন হবে-সেই আশাই আমরা পোষণ করি।
কারণ রাস্তাঘাট আছে, উৎপাদিত পন্য জাতারজাত করার ব্যবস্থা হয়েছে কাজেই আর্থসামামাজিক উন্নয়ন আরো দ্রুততর হবে এবং বিভিন্ন জায়গায় পর্যটন কেন্দ্রও গড়ে তোলার আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি বলেন,ঐ এলাকাটা এত চমৎকার জায়গা তা যেন পর্যটকদের জন্য দেখার মত হয় সে ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। এই অঞ্চলটাকে আরো সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। সেখানে তরিতরকারি, ফল-মূল,হাস-মুরগী পালনসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে যেন ব্যাপকভাবে হবে হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছি। জিডিপি ৭ শতাংশ অতিক্রম করেছে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের এই অভিযাত্রায় আমি পার্বত্যবাসীকেও একই গতিতে সামিল করতে চাই।
তিনি আশা পোষণ করেন,আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে জাতির পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্ন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ গড়তে সক্ষম হব।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র: বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা।