অপহরণের ১৫ দিন পর মুক্তি পেল রাঙামাটির ৩ নির্মাণ শ্রমিক

fec-image

মুক্তি

স্টাফ রিপোর্টার:

উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহরণের দীর্ঘ ১৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর রবিবার দিবাগত রাত ১১ টায় মুক্তি পেয়েছে রাঙামাটির তিন নির্মাণ শ্রমিক। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আড়াই লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেযেছে এই তিন নির্মাণ শ্রমিক। তবে রাঙামাটি সদর থানার ওসি মোহাম্মদ রশিদ পার্বত্যনিউজের কাছে মুক্তিরণের কথা অস্বীকার করে জানান, প্রশাসনের চাপের মুখে অপহরণকারীরা শ্রমিকদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, রাঙামাটির বনরূপার ব্যবসায়ী আবু সাইদের ৩০ লাখ টাকার ব্রিজ নিমার্ণ কাজের ৭% অর্থাৎ ২ লাখ ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেছিল উপজাতীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ। কিন্তু ঠিকাদার আবু সাইদ এই চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি শহরের বিহারপুর এলাকা ্উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা প্রকল্পের তিন নির্মাণ শ্রমিককে অপহরণ করে নৌকায় করে নানিয়ারচরের দিকে নিয়ে যায়। এ তিন শ্রমিকের নাম হচ্ছে আব্বাস, ছোট মানিক ও বড় মানিক।

অপহৃতদের স্বজনেরা জানিয়েছেন, তাদের চোখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ইঞ্জিন বোটে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে একটি উচুঁ পাহাড়ের উপর তুলে সেখানে একটি টং ঘরে তাদেরকে চোখ বেঁধে রাখতো সারাদিন। খাওয়ার সময় চোখ সামান্য সময়ের জন্য খুলে দিলেও খাওয়া শেষে আবারো চোখ বেঁধে রেখে দিতো।

অপহরণকারীরা প্রথম দিকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করলেও পরে বার্গেনিং করে আড়াই লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। মুক্তিপণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর রবিবার দিবাগত রাতে তাদের চোখ বেঁধে এনে শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকায় ছেড়ে দিয়ে যায়। তবে সদর থানার ওসি জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন, সোমবার সকালে তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে। মুক্ত হওয়ার পর নির্মাণ শ্রমিকেরা পরিবারের কাছে ফিরে গেছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ই ফেব্রুয়ারী সোমবার দিবাগত রাতে শহরের রাজবাড়িস্থ বিহারপুর এলাকায় নির্মানাধীন ব্রীজের কাজের শ্রমিক আব্বাস, ছোট মানিক ও বড় মানিক নামে তিনজন শ্রমিককে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায় অজ্ঞাতনামা পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ১৫দিন পরে সমঝোতার মাধ্যমে অপহৃত তিন শ্রমিককে মুক্তি দিয়েছে অপহরণকারি পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন