কর্মমুখী কারিগরী শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমেই দেশের বেকারত্ব দূরীকরণ সম্ভব: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

fec-image

গতানুগতিক শিক্ষায় কোন অর্জন নেই। কর্মমুখী কারিগরী শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমেই দেশের বেকারত্ব দূরীকরণ সম্ভব। তাই আগামীতে ছাত্রছাত্রীদের সেদিক বিবেচনায় পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব শুক্রবার কক্সবাজারের উখিয়ার মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নারী শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সর্বস্তরে নারীদের শামিল করেছেন। এ জন্যই নারী শিক্ষায় আমাদের আরো অধিকতর যত্নবান হতে হবে।

মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়ার প্রেক্ষিতে প্রধান অতিথি মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বিদ্যালয়ের জন্য একটি পাঠাগার, খেলার মাঠ এবং একটি ভবন তৈরির বিষয়টি তিনি বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। বক্তব্যের আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্যুভেনির ‘বাতিঘর’এর মোড়ক উন্মোচন করেন। অধ্যাপক আলমগীর মাহমুদ বাতিঘর সম্পাদনা করেন।

সুবর্ণ জয়ন্তী পরিষদের সভাপতি ও হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার পর্বটি অনুষ্ঠিত হয়। অষ্ঠানে বিশেষ অতিথি মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব সোলতান আহমদ বিদ্যালয়টির প্রাক্তন ছাত্র। তিনি স্মৃতি চারণ করে বলেন, এই বিদ্যালয়টি না হলে আমি নিজেও আজ লেখাপড়া করে এমন পর্যায়ে আসতে পারতাম না। এজন্য তিনি বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠার সাথে এবং প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

১৯৬৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্বে একটি ছোট্ট মাটির গুদামে জুনিয়র স্কুল হিসাবে যাত্রা শুরু করে আজ এ এলাকার সবচেয়ে একটি সমৃদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রুপ নিয়েছে বিদ্যালয়টি। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ২ হাজার ২০০ মত শিক্ষার্থী এবং ৩৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের মহাসচিব ও হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিনুল হক আমিন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আফসারুল আফসার, সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, রামু উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল ও উখিয়ার নব নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী, বিদালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, প্রাক্তন ছাত্র আবদুল মাবুদ চেয়ারম্যান, প্রাক্তন ছাত্র অধ্যাপক আলমগীর মাহমুদ, প্রাক্তন ছাত্র এম, জহিরুল হক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের পক্ষে সাংবাদিক সাইফুর রহিম শাহীন বক্তব্য রাখেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন