Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

কুতুবদিয়া ধূরুং বাজারে আবর্জনার ভাগাড়

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কুতুবদিয়ার প্রসিদ্ধ ব্যবসা কেন্দ্র ধূরুং বাজারের ভেতরেই আবর্জনার ভাগাড়। প্রতিদিন বিভিন্ন দোকানের ময়লা ফেলে দূর্গন্ধ সৃষ্টি করায় সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যবসায়ী, পথচারীদের ভোগান্তি বেড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ধুরুং বাজারের কেন্দ্রীয় মসজিদ গলিতে সরকারি খাস জায়গায় প্রতিনিয়ত বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বাজার জুড়ে। এ গলিতে হাঁটবারে দই, কবুতর, বেত-বাঁশের ঝুড়ি ইত্যাদি বিক্রেতারা কেনা-বেঁচা করে থাকে। ময়লার ভাগাড়ের পাশেই ধূরুংবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। দিনে-রাতে ওই পথে মসজিদে যাতায়াতে ময়লার দুর্গন্ধে নাকাল হয় মুসুল্লীদের। প্রতিনিয়ত ভোগান্তীর দরুন স্থানীয় বাসুদেব চক্রবর্তী গত বছর ১০ অক্টোবর এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন।

নির্বাহী অফিসার সুজন চৌধুরী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক সমাধান দেয়ার জন্য দায়িত্ব দেন। তদন্ত কর্মকর্তা একাধিকবার গিয়ে বাজারের ইজারাদারকে বিষয়টি অবহিত করলে বাজারের পরিচ্ছন্ন কর্মী ময়লার ভাগাড় থেকে কিছু আবর্জনা অপসারণ করেই খালাস। দীর্ঘ ৭ মাসেও স্থায়ী কোন সমাধান হয়নি।

ময়লার ভাগাড়টি অপসারণে আবেদনকারী বাসুদেব চক্রবর্তী জানান, প্রতিনিয়ত আবর্জনা ফেলায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে । পথচারি, ব্যবসায়ী, মুসুল্লীদের দুর্ভোগ কমেনি ৭ মাসেও। ময়লার পাশাপাশি প্রতিদিন কতিপয় প্রভাবশালীর একাধিক মালবাহী ট্রলি রাখায় আড়ালে আবর্জনা ফেলেই চলছে কতিপয় দোকান্দার।

বাজারের ইজারাদার কামরুল হাসান সিকদার বলেন, বাজারের আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই। তবে মসজিদ গলির ওই জায়গায় পরিচ্ছন্ন কর্মী কোন আবর্জনা ফেলেনা। স্থানীয় কিছু দোকানদার ওখানে আবর্জনা ফেলে বলে তিনি জানান। তা ছাড়া ওই গলিতে সপ্তাহে দু’বার হাঁটবারে খুচরা অস্থায়ী বিক্রেতাদের কাছ থেকে হাশিল আদায় করলেও ওই গলিটি বাজারের আওতায় নয় বলেও জানান তিনি।

উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা কামাল পাশা বলেন, বাজারের সচেতন ব্যক্তির আবেদনের পর দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি কয়েকবার সেখানে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ইজারাদারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেন। সেমতে একবার পরিষ্কার করা হয় বলেও তিনি জানান। তবে স্থায়ী সমাধান করতে হলে মসজিদ কমিটি, বাজারের ইজারাদার ওব্যবসায়ীদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন