অপহৃত না আত্মগোপনে: লংগদুর নিখোঁজ কাঠ ব্যবসায়ীকে নিয়ে ধুম্রজাল

অপহরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার নিখোঁজ কাঠ ব্যবসায়ী অপহৃত না আত্মগোপনে তা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। আনোয়ারের মোবাইল ট্রাকিং করে নিরাপত্তা বাহিনীর দাবী তিনি অপহৃত হয়েছেন। এ নিয়ে পার্বত্যনিউজে একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয়। কিন্তু আনোয়ারের বাবা তা অস্বীকার করে জানিয়েছেন, এটি তার ছেলের নামে অপপ্রচার।

তার দাবী, বাঘাইছড়ি উপজেলার দূরছড়ি এলাকা থেকে অপহৃত হওয়া কাঠ ব্যবসয়ায়ীকে রাঙামাটির কোন এক হোটেলে দেখা গেছে কে বা কারা এধরণের গুজব ছড়িয়ে দেয়। এর ফলে প্রশাসনিকভাবে উদ্ধার প্রক্রিয়া প্রথম দিকে তোড়জোড় থাকলেও এখন তা শিথিল বলা যায়।

এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম জানায়, আনোয়ার হোসেনের পরিবারে পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে, গত (৭ ফেব্রুয়ারি) রবিারের পর থেকে তাকে আর খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরাও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। কিন্তু এখন শুনছি তাকে রাঙামাটিতে দেখা গেছে।

কিন্তু আনোয়ারের পিতা মোঃ হাশেম মিয়া (মিস্ত্রি) এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জনিয়েছেন। তাদের ছেলেকে এখনো তারা ফেরত পায়নি বা তার সাথে কোন যোগাযোগ হয়নি। কে বা কারা এ ধরণের কথা ছড়াচ্ছে বা তারা কেন তার পরিবারকে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না বলে অভিয়োগ করেছেন।

জবাবে আবুল কালাম (ওসি) বলেন, আমরা সব ব্যাপারে নজর রাখছি। তাছাড়া এটা তাদের পারিবারিক কোন সমস্যা কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গাঁথাছড়া এলাকার বাসিন্দা জনৈক হাশেমের পুত্র আনোয়ার হোসেন (২৮) গত (৫ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার গাছ কেনার প্রয়োজনে বাঘাইছড়ি উপজেলার দূরছড়ি শিজকমুখ এলাকায় যান। কিন্তু শনিবার থেকে মোবাইলে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। রোববারা তার মোবাইল ফোনটি হঠাৎ সচল হয়। সেই ফোন থেকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা আনোয়ার তাদের জিম্মায় আছে এবং দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ পেলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানায়।

অপহৃত আনোয়ারের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগে জানায়, ০১৮২৮৯১৭৫১৯ এটা অপহৃত আনোয়ারের নাম্বার। এই নাম্বার থেকে কল করে মুক্তিপণ দাবী করা হচ্ছে। যে বা যারা মুক্তিপণ দাবী করেছে তাদের কণ্ঠস্বর শুনে তারা পাহাড়ী বলে মনে হচ্ছে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলে তারা জানায়।

এ ব্যাপারে লংগদু থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে এবং তা বাঘাইছড়ি থানাকে অবহিত করা হয়েছে। তারাও বিষয়টি খোঁজ খবর নিচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন