Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

বাংলাদেশ-মিয়ানমার উভয়কেই হাতে রাখতে চায় চীন

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ-মিয়ানমার কাউকেই হাতছাড়া করতে চায় না চীন। বাংলাদেশকে দূরে না সরিয়েই মিয়ানমারকে সমর্থন জুগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে চীন। শরণার্থী সংকট সমাধানে দু’দেশের মধ্যে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করছে বেইজিং। কূটনীতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদপত্র দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজেদের পররাষ্ট্রনীতির আলোকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলছে চীন। এরই মধ্যে তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে মিয়ানমারের প্রতি নিরঙ্কুশ রাজনৈতিক সমর্থনের প্রমাণ মিলেছে।

তবে বাংলাদেশকেও রুষ্ট করতে চায় না বেইজিং। ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ২ হাজার তাঁবু ও ৩ হাজার কম্বলসহ ১৫০ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে বেইজিং। পুরোপুরি মানবিক দিক বিবেচনায় এ সাহায্য করেছে বলে দাবি চীনের। বেইজিং মনে করে, বাংলাদেশের এ বোঝায় ভাগ নেয়া উচিত তাদেরও।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে সে ব্যাপারে চীন উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশকে সহায়তা করতে ত্রাণ দিয়ে পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।’

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকটের বিতর্কেও চীন মিয়ানমারকে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনার তোপে পড়া মিয়ানমার যেন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় না পড়ে সেই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বেইজিং।

চীনের জন্য রাখাইন রাজ্য গুরুত্বপূর্ণ। মিয়ানমারের সাবেক গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের সংবাদমাধ্যম ইরাবতির ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, কিয়াকফিউ সমুদ্রবন্দর করতে চায় চীন। এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরিতে এই চেষ্টা তাদের। কিয়াকফিউ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে চীনের।

এছাড়া বঙ্গোপসাগর থেকে একটি রেলপথও তৈরি করতে চায় তারা, যার মাধ্যমে মিয়ানমার হয়ে ইউনান প্রদেশ যুক্ত হবে। নতুন সিল্ক রোড প্রকল্পের জন্য তাদের এটা প্রয়োজন। দ্য হিন্দু জানিয়েছে, চীন তাদের নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী মিয়ানমার-বাংলাদেশ শান্তি আলোচনা চায়।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘চীন নিজেদের মতো করে শান্তি আলোচনা শুরু করতে চায়। বেইজিং আশা করে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এ পরিস্থিতি উত্তরণে এগিয়ে আসবে এবং সংলাপের পথ সহজ করবে।

এর আগেও এপ্রিলে চীনের এশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত সুন গুয়াশিং বাংলাদেশ সফরে এসে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ঢাকা ও নেপিদোকে আলোচনার প্রস্তাব দেয়। দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা ও নেপিদোর মধ্যে শান্তি আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ হল পাকিস্তানের সমর্থন। চীনের ঘনিষ্ঠ মিত্র এ দেশটি পর্দার আড়ালে সমর্থন না দিলে শান্তি আলোচনার উদ্যোগ সাফল্যের মুখ দেখবে না।

সূত্র: যশোর টাইমস ডট কম

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন