৭ বিশিষ্ট জনকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান

padak

ডেস্ক রিপোর্ট:
৭ বিশিষ্ট জনকে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাদের এ সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০১৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার হিসেবে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।এসময় মন্ত্রি পরিষদ সদস্যবর্গ, কূটনীতিক, সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের স্বাধীনতা আমরা এনেছি, এদেশকে বিশ্ব সভায় মর্যাদার আসনে বসানো এটাই আমাদের লক্ষ্যে। আমরা সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। কারো মুখাপেক্ষী নয়, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াবো।আমাদের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে আমরা তা ধরে রাখতে চাই। আমরা পিছিয়ে যেতে চাই না। ২০২১ সালে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে গড়তে চাই। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আসুন আমরা সকলে মিলে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করি।

পদক পাওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিরা হলেন-স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে বৃহত্তর সিলেটে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় বিশেষ ভূমিকা পালনকারী মরহুম কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী, ১৯৭১ সালে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে কর্মরত অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে শাহাদতবরণকারী মামুন মাহমুদ, ১৯৭১ সালে ওয়াশিংটনে পাকিস্তানি দূতাবাসে কর্মরত থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশকারী এবং প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সংগঠক সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়া।

এছাড়া সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সংস্কৃতি ক্ষেত্রে যশস্বী চলচ্চিত্র অভিনেতা আব্দুর রাজ্জাক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে স্বনামধন্য কৃষি গবেষক ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ হোসেন মণ্ডল এবং সাংবাদিকতা ক্ষেত্রে প্রথিতযশা সাংবাদিক প্রয়াত সন্তোষ গুপ্ত (মরণোত্তর) এ পুরস্কার পান।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদকে এবার স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত করা হয়। তবে তিনি এ পুরস্কার নেননি।

এর আগে গত ৪ মার্চ মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ৮ বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা একটি করে সোনার পদক এবং একটি সম্মাননাসূচক প্রত্যয়নপত্র পান। এর সঙ্গে নগদ পুরস্কার হিসাবে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হয়ে থাকে।

২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস সামনে রেখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রতিবছর এ পুরস্কার দিয়ে থাকে সরকার।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন