৪১১ রানের পাহাড় গড়লো দক্ষিণ আফ্রিকা

image_119633_0খেলা ডেস্ক:

টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দলীয় স্কোর ৪০০ রান পার করলো দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা।প্রথম দল হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে এই রেকর্ড গড়ল প্রোটিয়ারা।আগের ম্যাচেই সিডনিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রোটিয়ারা গড়েছিল ৪০৮ রান। এবার সেটাকেও ছাড়িয়ে গেল। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে ৪১১ রানের বিশাল স্কোর গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

মানুকা ওভাল মানেই ব্যাটিং স্বর্গ। এখানে এসে কেউ যদি স্বর্গারোহণ করতে না পারে, তবে সেটা তাদেরই ব্যার্থতা। দক্ষিণ আফ্রিকার এই দলটি চরম পেশাদার। সুতরাং, মাঠের সুবিধাকে কাজে লাগাবে না, তা তো হয় না। এ কারণেই হয়তো আয়ারল্যান্ডকে বিশাল রানের নীচে চাপা দিল এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল।

যদিও শুরুতে বড় একটি ধাক্কা খেয়েছিল প্রোটিয়ারা। মাত্র ১২ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত এক রানে ফিরে যান বিধ্বংসী ওপেনার কুইন্টন ডি কক। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২৪৭ রান সংগ্রহ করে হাশিম আমলা আর ফ্যাফ ডু প্লেসিস প্রোটিয়াদের তুলে আনেন বড় স্কোর গড়ার পথে।

ওপেনার হাশিম আমলা ক্যারিয়ারের দুটি মাইল ফলকে পৌঁছে যান এই ম্যাচে। ১১১তম ওয়ানডেতে এসে গড়লেন ক্যারিয়ারের ২০তম সেঞ্চুরি। একই সঙ্গে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ১৫৩ রানকেও ছাড়িয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত আমলা আউট হন ১২৮ বলে ১৫৯ রানে। ১৬টি বাউন্ডারি আর ৪টি ছক্কায় সাজানো ছিল আমলার ইনিংস।

৪২ তম ওভারের প্রথম প্রথম বলে অ্যান্ডি ম্যাকব্রায়েনকে ছক্কা মারতে গিয়ে একেবারে লং অনে জন মুনির হাতে আউট হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। তবে দুর্ভাগ্য আয়ারল্যান্ডের। আর সৌভাগ্য অবশ্যই বলতে হবে আমলার। ব্যাক্তিগত ১০ রানের মাথায় শর্ট কাভারে দাঁড়ানো এড জয়েসের হাতে সহজ একটি ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন আমলা। কিন্তু ওই ক্যাচটি তালুবন্দী করে রাখতে ব্যার্থ হলেন আইরিশ এই ক্রিকেটার।

আমলার সঙ্গে থাকা ফ্যাফ ডু প্লেসিস অবশ্য আউট হয়েছেন তার একটু আগেই, ৩৯তম ওভারে। তবে আউট হওয়ার আগে পূরণ করেছেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১০৯ বলে ১০৯ রান করে আইট হন তিনি। ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০টি বাউন্ডারি আর ১টি ছক্কায়।

আমলা আউট হওয়ার পর একই ওভারের তৃতীয় বলেই বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সকেও সাজঘরে ফিরিয়ে দেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রায়েন। তবে তার আগে খানিক্ষণের জন্য হলেও ঝড় বইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মাত্র ৯ বল খেলে ১ চার আর ২ ছক্কায় করে যান ২৪ রান।

৪১.৩ ওভারে আউট হন ডি ভিলিয়ার্স। দলীয় রান তখন ৩০১। এরপর ইনিংসের বাকি ৫১ বলে দলীয় সংগ্রহের সঙ্গে আরও ১১০ রান যোগ করেন ডেভিড মিলার আর রিলে রুশো। ২৩ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৪৬ রানে অপরাজিত থাকে ডেভিড মিলার। তার সঙ্গে আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান রিলে রুশো অপরাজিত থাকেন ৩০ বলে ৬১ রান করে। ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। রুশোর ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কায়।

আইরিশদের পক্ষে ২ উইকেট নেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রায়েন। আর একটি করে উইকেট নেন জন মুনি এবং কেভিন ও’ব্রায়েন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন