২৫ আগস্ট পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রুমায় আসছেন: অনেক আশা-প্রত্যাশা রুমাবাসীর
রুমা প্রতিনিধি:
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আগামী ২৫ আগস্ট রুমায় আসছেন। তিনি এসময় স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১৬ কোটি টাকার ব্যয়ে নির্মিতব্য ৫০শয্যা বিশিষ্ট রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উহ্লাচিং মারমা জানান, বিদ্যুৎবিহীন দূর্গম এলাকায় আলোকিত করতে শিক্ষা, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ দরিদ্র পরিবারের মাঝে মোট ২৬৫টি সোলার প্যানেল বিতরণ কর্মসূচি রয়েছে। এছাড়াও গত ২০আগস্ট এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ইউনিয়ন পরিষদ নিজস্ব তহবিল ও বাজার কমিটির উদ্যোগে সংগ্রহিত নগদ টাকা ও বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে বিতরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর ইউপি চেয়ারম্যান শৈমং মারমা।
বিশিষ্ট ঠিকাদার ও আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রতন কান্তি দাশ জানান, ১০শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আরো অধিকতর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমপ্লেক্সটিকে ৫০শয্যায় উন্নীত করনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ৫০ শয্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর অবকাঠামো ভবনগুলো নির্মিত হবার পর রুমাবাসী তখন হয়তো আশাতীতভাবে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে রুমা বাজার অগ্নিকান্ডের পরবর্তী নিকট সময়ে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী রুমায় শুভাগমণে ব্যাপক আশা-প্রত্যাশা রয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ব্যবসায়ী কাজল কান্তি দাশ বলেন সদ্য সংগঠিত অগ্নিকান্ডে ক্ষতি দু’পক্ষই হয়েছে। প্রথমত, জমির মালিকের আগুনে পুড়ে দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। দ্বিতীয়ত, সব মালামাল পুড়ে গিয়ে ক্ষতি গ্রস্থ ব্যবসায়ীরাও। ওবায়দুল্লাহ মীর(৩২) মীর বলেন মাত্র ছয় মাস আগে আড়াই টাকা বিনিয়োগ করে দোকান নিমাণসহ গার্মেন্স কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেছে। ভয়ানক আগুন আধা ঘন্টার মধ্যে সব শেষ করে দিল। এঅবস্থায় ব্যবসা করতে কোনো নিরাপত্তা থাকছেনা উল্লেখ করে ওবায়দুল্লাহ মীর আরো জানান, কোনো সহযোগিতা ছাড়া নিজ উদ্যোগে এ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবেনা।
পরিতোষ দাশ টিটু(৪৬) বলেন আগুন থেকে রেহাই পেতে বা নিরাত্তার লক্ষে লোহা ঢেউটিন দিয়ে অন্ত:ত দোকানগুলো সেমি পাকা হওয়া দরকার। তবে এতসব কিছু তো সরকার দেবেনা। এসব করতে নিজেকে উদ্যোগী হতে হবে। টিটুর একথায় একমত নয় আরো অনেকের। ব্যবসায়ী কাজল ও আহমদ ছোফাসহ ব্যবসায়ী অনেকে মনে করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী উদ্যোগী হয়ে হাত বাড়ালে সেমি পাকা দোকান তৈরিতে চাহিদায় অর্ধেক হলেও মিটিয়ে দিতে একটি উপায় বের করবেন। এ প্রত্যাশায় রুমা বাজার সকল শ্রেণি পেশাজীবি মানুষের।
উল্লেখ্য যে, গত ২০আগস্ট শনিবার দুপুরে মোহাম্মদ জামাল(৩১) নামে এক ব্যবসায়ী দোকানে গ্যাসের চুলা থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়ে রুমা বাজারের ৩৯টি দোকানসহ বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। একই সাথে আরো ক’টি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়।